নিজস্ব প্রতিবেদক:: আর মাত্র ক’টা দিন। এরপরই পর্দা উঠতে যাচ্ছে ‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ খ্যাত বিশ্বকাপ ফুটবলের। কাতারে অনুষ্ঠিত হবে ২০২২ ফুটবল বিশ্বকাপ। ৩২ দলের ফুটবল লড়াই দেখার অপেক্ষায় গোটা বিশ্ব। শুধুমাত্র ফুটবলের লড়াই নয়, এই ক্রীড়া মহাযজজ্ঞের সাথে জড়িয়ে আছে আরও অনেক কিছু। দীর্ঘ প্রচেষ্টায় নিজেদেরকে প্রস্তুত করেছে আয়োজক দেশ কাতার। যেখানে স্টেডিয়াম আছে বড় অংশ জুড়ে। বিশ্বকাপের জন্য সম্পূর্ণ নতুন স্টেডিয়াম গড়ে তুলেছে বিশ্বকাপের আয়োজ দেশটি। সেই স্টেডিয়ামগুলোর বিস্তারিত ধারাবাহিকভাবে তুলা ধরা হবে। আজকের প্রতিবেদনে থাকছে রাস আবু আবুদ স্টেডিয়াম।
দোহা বন্দরের উপকন্ঠে আলাদা উচ্চতার ৯৭৪টি শিপিং কন্টেইনার দিয়ে গঠিত রাস আবু আবুদ স্টেডিয়াম। বিশেষ কারিগরিতে নির্মিত এই স্টেডিয়ামে আসন্ন বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত ৭ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। এটা বিশ্বকাপের ইতিহাসের প্রথম ও একমাত্র অস্থায়ী ভেন্যু। স্টেডিয়ামটিকে শুধুমাত্র বিশ্বকাপ ম্যাচ আয়োজনের জন্য অস্থায়ীভাবে নির্মাণ করা হয়েছে।
রাস আবু আবুদ স্টেডিয়ামটি বানাতে কাজে লাগানো হয়েছে নয়শ’ চুয়াত্তরটি জাহাজের পরিত্যাক্ত কনটেনার, আর কাতারের ইন্টারন্যাশনাল ডায়ালিং নম্বর যেহেতু ৯৭৪, তাই স্টেডিয়াম এর নাম হয় ‘৯৭৪’ স্টেডিয়াম। বিশ্বকাপের জন্যেই বিশেষভাবে নির্মিত স্টেডিয়ামটিতে চল্লিশ হাজার দর্শকের বসার ব্যবস্থা আছে। ৪৮ লাখ বর্গফুটের এই স্টেডিয়ামের কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালে। এখন অপেক্ষা শুধু বিশ্বসেরা ফুটবলারদের পায়ের জাদু প্রদর্শনের।
টুর্নামেন্ট শেষ হয়ে যাওয়ার পর এই স্টেডিয়ামের বিভিন্ন অংশ, রিমুভেবল সিট, কন্টেইনার এবং ছাদ পর্যন্ত ভেঙ্গে ফেলা হবে এবং কাতার কিংবা কাতারের বাইরের অন্য কোনো খেলার অনুষ্ঠানে বা সাধারণ অনুষ্ঠানে ব্যবহার করা হবে। এছাড়া নির্মাণ সংস্থার পরিকল্পনা আছে, উরুগুয়ে ও আর্জেন্টিনা যদি বিশ্বকাপের শত বর্ষে (২০৩০’র আসর) বিশ্বকাপ আয়োজনের সাংগঠনিক অধিকার পায় তাহলে এই ‘৯৭৪’-কে আবার স্থাপন করা হবে লাতিন আমেরিকায়।
পারস্য সাগরের তীর ঘেঁষা দোহায় এক সময় জীবনের তেমন কোন চিহ্ন ছিল না। আজ সেখানে জনমানুষে রীতিমতো পরিপূর্ণ, কলরবে মুখর মধ্যপ্রাচের এ অঞ্চল। আর কিছুদিন পরেই সেখানে শোনা যাবে ৪০ হাজার দর্শক-সমর্থকদের চিৎকার। ইতিহাসের প্রথম ফুটবল স্টেডিয়ামে উল্লাসে-উচ্ছ্বাসে টালমাটাল হবেন দর্শকরা।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/১১০/০০0