বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড় চ্যাম্পিয়ন স্যাম কারান

0
108

স্পোর্টস ডেস্ক:: আইসিসি টি-২০ বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারের জিতলেন চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের স্যাম কুরান। মেলবোর্নে বিশ্বকাপের ফাইনালে বাবর আজমদের পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ইংল্যান্ড। ক্রিকেটের জনকরা দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হলো টি-২০ বিশ্বকাপের। টুর্নামেন্ট সেরা খেলোয়াড়ের পাশাপাশি ফাইনাল সেরাও হয়েছেন এই পেসার।

টুর্নামেন্ট বল হাতে দারুণ করেছেন তিনি। ইংলিশদের চ্যাম্পিয়নে ছিলো তার বড় অবদান। টুর্নামেন্ট শেষে তাই স্যাম কারানের হাতেই উঠলো বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার। রোববার মেলবোর্নের ফাইনালে পাকিস্তানে বিপক্ষে বল হাতে দারুণ ছিলেন এই বাঁহাতি পেসার। ১২ রানের বিনিমিয়ে তুলে নেন পাকিস্তানের তিন উইকেট।

ফাইনালে আগে ব্যাট করতে নামা পাকিস্তান ইংল্যান্ডের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে মাত্র ১৩৭ রান তুলতে পারে ৮ উইকেট হারিয়ে। ১৩৮ রানের সহজ লক্ষ্য বেন স্টোকসের হাফ সেঞ্চুরিতে মাত্র ৫ উইকেট হারিয়ে টপকে যায় ইংল্যান্ড। পঞ্চাশ হাঁকিয়ে দলকে চ্যাম্পিয়ন করেই মেলবোর্নের বাইশ গজ ছাড়েন ইংলিশ এই অলরাউন্ডার।

মেলবোর্নে ফাইনালে পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। অল্প পূঁজি নিয়ে যদিও লড়াই করেছে। তবে বেন স্টোকসদের ব্যাটে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। পাকিস্তানের দেওয়া ১৩৮ রানের টার্গেট পাঁচ উইকেট হারিয়ে টপকে গেছে ইংল্যান্ড। পাকিস্তানের দুর্দান্ত বোলিং লাইনআপের বিরুদ্ধে ফাইনালের মহারণে ফিফটি হাঁকিয়েছেন বেন স্টোকস।

পাকিস্তানের দেওয়ার লক্ষ্য ৫ বল ও ৫ উইকেট হাতে রেখে বেন স্টোকসের পঞ্চাশে সহজেই পেরিয়ে যায় ইংল্যান্ড। আইসিসি টি-২০ বিশ্বকাপ ২০২২’র শিরোপা ঘরে তুললো ক্রিকেটের জনকরা।

বিশ্ব সেরা হওয়ার লড়াইয়ে ব্যাট করতে নামা ইংল্যান্ড শুরুতেই উইকেট হারায়। প্রথম ওভারে শাহিন শাহ আফ্রিদীর শিকারের পর এবার দ্বিতীয় উইকেট তুলে নিয়েছেন হারিস রউফ। হেলসের বিদায়ের পর উইকেটে আসা পিল সল্টকে প্যাভেলিয়েন ফেরত পাঠান হারিস রউফ। দলীয় ৩২ রানে ইনিংসের চতুর্থ ওভারের তৃতীয় বলে দ্বিতীয় উইকেট হারিয়েছে ইংলিশরা। দুই চারে ৯ বলে ১০ রান করেছেন সল্ট। ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে বড় ধাক্কা খায় ইংল্যান্ড।ওভারের তৃতীয় বলে হারিস রউফ দলীয় ৪৫ রানের মাথায় বাটলারকে ফেরান সাজঘরে। ইংলিশ অধিনায়ক তিন চার ও এক ছয়ে ১৭ বলে ২৬ রান করেছেন।

অধিনায়কের বিদায়ের পর চতুর্থ উইকেটে ব্রুকস ও বেন স্টোকস তুলে নেন ৩৯ রান। ইনিংসের ১৩তম ওভারের তৃতীয় বলে শাদাবের বলে ভাঙে তাদের জুটি। দলীয় ৮৪ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ২৩ বলে ২০ রান করে ব্রুকস ফিরেন সাজঘরে। মঈন আলী ১২ বলে করেন ১৯ রান। পাঁচ চার ও এক ছয়ে ৪৯ বলে ৫২ রান করে শিরোপা ঘরে তুলেই বাইশ গজ ছাড়েন বেন স্টোকস। ১ রানে তার সঙ্গী হন লিভিংস্টোন।

পাকিস্তানের হয়ে হারিস রউফ ২টি, শাহিন আফ্রিদী, শাদাব ও ওয়াসিম ১টি করে উইকেট লাভ করেন।

এর আগে ফাইনালে ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৩৭ রানে থামে পাকিস্তান। ব্যাট করতে নামা পাকিস্তানের শুরুটা খুব একটা ভাল হয়নি। ইনিংসের পঞ্চম ওভারের দ্বিতীয় বলেই সাজঘরের পথ ধরেন ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান। দলীয় ২৯ রানের মাথায় প্যাভেলিয়নে ফেরার আগে তিনি ১৪ বলে করেন ১৫ রান। তার বিদায়ের পর পাকিস্তান দ্বিতীয় উইকেটও হারায় দ্রুত। অর্ধশতকের আগেই সাজঘরে ফিরেন হারিস। অষ্টম ওভারের প্রথম বলে দলীয় ৪৫ রানের মাথায় ১২ বলে ৮ রান করা হারিসকে ফেরান রশিদ।

তৃতীয় উইকেটে শান মাসুদের সঙ্গে জু্টি গড়ার চেষ্টা করেন বাবর। তবে সফল হতে পারেননি। ৩৯ রানের জুটি গড়ে বাবর তৃতীয় উইকেটে সাজঘরে ফিরেন দলীয় ৮৪ রানের মাথায়। ইনিংসের ১২তম ওভারের প্রথম বলে পাক অধিনায়ক বিদায়ের আগে দুই চারে ২৮ বলে ৩২ রান করেন।

অধিনায়কের বিদায়ের পরের ওভারের দ্বিতীয় বলে, অর্থাৎ ১৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে দলীয় ৮৫ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় পাকিস্তান। ৬ বল খেলে কোনো রান সংগ্রহের আগেই ইফতিখার ফিরেন সাজঘরে। তার বিদায়ের পর ১৭তম ওভারের তৃতীয় বলে দলীয় ১২১ রানে পঞ্চম উইকেটে সাজঘরে যান শান মাসুদ। দুই চার ও এক ছয়ে ২৮ বলে ৩৮ রান করেছেন তিনি।

পরের ওভারেই ষষ্ঠ উইকেট হারায় বাবর আজমের দল। ১৮তম ওভারের দ্বিতীয় বলে দলীয় ১২৩ রানে ষষ্ঠ উইকেটে সাজঘরে যান ১৪ বলে ২০ রান করা শাদাব খান। এরপর ৭ বলে ৫ রানে নেওয়াজ ও ৮ বলে ৪ রানে ওয়াসিম ফিরেন প্যাভেলিয়নে। ১ রানে হারিস ও ৫ রানে শাহিন শাহ আফ্রিদী অপরাজিত থাকেন। পাকিস্তান থামে ৮ উইকেটে ১৩৭ রানে।

ইংল্যান্ডের হয়ে স্যাম কুরান ৩টি, আদিল রশিদ ও ক্রিস জর্ডান ২টি করে উইকেট লাভ করেন।

এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/০০

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here