স্পোর্টস ডেস্ক:: বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কা অন্যায্যের শিকার হচ্ছে। অব্যবস্থাপনা ‘কঠিন’ করে তুলেছে তাদের বিশ্বকাপ যাত্রা। এমন অভিযোগ ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলকেও জানিয়েছে লঙ্কানরা।
বিশ দলের বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কা ও নেদারল্যান্ডসকেই দৌড়াতে হবে বেশি। কারণ এ দু’টি দলের গ্রুপ পর্বের ম্যাচগুলো পড়েছে চারটি ভিন্ন ভিন্ন ভেন্যুতে। এক ভেন্যুতে ম্যাচ করেই তাই দৌড়ে অন্য ভেন্যুর ফ্লাইট ধরতে হচ্ছে লঙ্কান।
ম্যাচ ভেন্যু থেকে টিম হোটেলও পড়ছে বেশ দূরত্ব। যাওয়া-আসার পথে তাই ভোগান্তি বেড়েছে দলটির। ভোরে উঠতে হচ্ছে ঘুম থেকে। বিমানবন্দরেও অনায্যের শিকার হচ্ছে লঙ্কানরা। ফ্লাইট বিলম্ব হচ্ছে, ঘন্টার পর ঘন্টা বিমানবন্দরেই কাটাতে হচ্ছে।
সব বিষয় লিখিত ভাবে আইসিসিকে জানিয়েছেন শ্রীলঙ্কার ম্যানেজার মাহিন্দ হালানগোদা। নিউইয়র্ক থেকে মায়ামির পথে বিমানবন্দরে ফ্লাইট বিপর্যয়ে পড়েছিলেন লঙ্কান ক্রিকেটাররা। সে কারণে তাদেরকে বাতিল করতে হয় নির্ধারিত অনুশীলন সেশনও।
এতো ভোগান্তির পর লঙ্কানদের বিশ্বকাপ শুরু হয়েছে বড় হারে। সাউথ আফ্রিকার কাছে বড় ব্যবধানে হেরেছে লঙ্কানরা। ম্যাচ শেষে লঙ্কান ক্রিকেটার থিকশানা তাই জানিয়েছেন, তাদের প্রতি অন্যায় আচরণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জন্য এটা অন্যায্য হয়ে গেছে। প্রতিটি ম্যাচের পরই আমাদের দৌড়াতে হবে। কারণ, চারটি ভিন্ন ভেন্যুতে খেলা পড়েছে আমাদের। এটা অন্যায়। ফ্লোরিডার মায়ামি থেকে ফ্লাইট ধরতে বিমানবন্দরে আট ঘণ্টার মতো অপেক্ষা করতে হলো। রাত ৮টার ফ্লাইট পেলাম ভোর ৫টায়। এটা অন্যায্য, তবে খেলায় এর প্রভাব পড়েনি।’
স্টেডিযাম থেকে টিম হোটেল অনেক দূরে জানিয়ে থিকশানা বলেন, ‘হোটেল থেকে অনুশীলনের ভেন্যু ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিটের পথ। আজ ম্যাচের দিনে তো ভোর ৫টায় উঠতে হয়েছে এখানে আসার জন্য।’
নানা ঝামেলায় বিশ্বকাপটা ‘কঠিন’ হয়ে গেছে জানিয়ে লঙ্কান ক্রিকেটার হাসারাঙ্গা বলেন, ‘ আমরা এটি (পারফরম্যান্সে প্রভাব পড়েছে কিনা) বলতে পারব না। গত কিছু দিন আমাদের কঠিন সময় ছিল। আমাদের চার ম্যাচ চারটি ভিন্ন ভেন্যুতে। এখানের (নিউ ইয়র্ক) কন্ডিশন সম্পর্কে আমরা জানতাম না। পরের ম্যাচ ডালাসে। সেখানের কিছুও জানি না। এরপর খেলব ফ্লোরিডায়। সেখানে দুটি (প্রস্তুতি) ম্যাচ খেলেছি। তো এটিই একমাত্র ইতিবাচক দিক।’
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০
Discussion about this post