স্পোর্টস ডেস্ক:: কিলিয়ান এমবাপে। ফরাসি তারকা ক্লাব ফুটবলে রীতিমতো আকাশে উড়ছিলেন। এবার তিনি উড়ছেন বিশ্ব মঞ্চে। বিশ্বকাপে পরপর দুই ম্যাচে গোল করলেন। দলের দ্বিতীয় ম্যাচে জোড়া করেছেন, ফ্রান্সকেও সবার আগে তুলে দিয়েছেন নকআউট পর্বে।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচ ফ্রান্স জিতেছিলো ৪-১ ব্যবধানে। ম্যাচের ৬৮তম মিনিটে গোল করেছিলেন কিলিয়ান এমবাপে। এবার দলের দ্বিতীয় ম্যাচে জয়ের নায়কই তিনি। ডেনমার্ক ২-১ গোলে ফরাসিরা হারিয়েছে তার জোড়া গোলের কারণেই।
ক্লাব ফুটবলে নিয়মিত গোল পাওয়া এমবাপে জাতীয় দলের জার্সিতেই নিজেকে ছাড়িয়ে যাচ্ছেন। আলো ছড়াচ্ছেন। সবার আগেই নিজ দলকে তুলে ফেললেন নকআউটে। ফিফা র্যাংকিংয়ে প্রা কাছাকাছি অবস্থানে ফ্রান্স ও ডেনমার্ক। কিলিয়ান এমবাপের দলের র্যাংকিং চতুর্থ। ডেনমার্কের র্যাংকিং ১০। ফরাসিরা নিজেদের প্রথম ম্যাচে তুলে নেয় বড় জয়। ডেনমার্ক প্রথম ম্যাচে ‘ড্র’য়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচ হারে সুপার সিক্সটিন থেকে ছিটকে পড়ার শঙ্কায় আছে।
দুই দলের টানটান উত্তেজনার ম্যাচটির প্রথমার্ধে কোনো গোল আসেনি। একাধিক আক্রমণ করেও ফরাসিরা ডেনমার্কের জালে বল পাঠাতে পারেনি। ফ্রান্সের রক্ষণে ডেনমার্কও চিড় ধরাতে পারেনি। গোল শুন্য সমতায় ম্যাচ রেখে বিরতিতে যায় দুই দল।
বিরতির পর ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুই দলই মরিয়া হয়ে উঠে। আক্রমণ পাল্টা আক্রমণও করে। তবে জয়ের দেখা পাচ্ছিলো না। ম্যাচের ৬১তম মিনিটে ফ্রান্স লিড নেয়। হার্নান্দেজের পাস থেকে বল পেয়ে ডেনমার্কের জালে পাঠাতে বিলম্ব করেননি এমবাপে। ফ্রান্স এগিয়ে যায় ১-০ গোলে।
পিছিয়ে পড়া ডেনমার্ক সমতায় ফিরতে খুব একটা সময় নেয়নি। মিনিট সাতেক পরেই কর্ণার কিক থেকে সমতায় ফেরে দলটি। ম্যাচের ৬৮তম মিনিটে এরিকসেন নেন কর্ণার কিক। ডি বক্সে থাকা অ্যান্ডারসেন বল দেন ক্রিসটেনসকে। মুহুর্তেই তিনি ফরাসিদের জালে বল পাঠিয়ে ম্যাচে ১-১ গোলের সমতা ফেরান।
মিনিট দশেক পরেই এমবাপে দলকে তুলে দেন নকআউট পর্বে। ম্যাচের ৮৬তম মিনিটে গ্রিজম্যানের পাস থেকে বল পান এই তারকা। দুই গজ দূর থেকেই বল পাঠিয়ে দেন ডেনমার্কের জালে। তাতেই ফ্রান্সের ২-১ গোলের জয় নিশ্চিত হয়।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০00