স্পোর্টস ডেস্ক:: বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে দক্ষিণ কোরিয়ার। ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজার সাথে সাথেই কোরিয়ান খেলোয়াড়রা ও কোচিং স্টাফের সদস্যরা ঘিরে ধরেন রেফারিকে। তাদের দাবি যোগ করা সময় আরো বেশি দেওয়া যেতে।
নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষে ঘানা এগিয়ে ছিলো ৩-২ ব্যবধানে। ম্যাচে অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয় ১০ মিনিট। অতিরিক্ত সময় শেষ হতেই রেফারি শেষ বাঁশি বাজান। তাতেই বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়ে যায় কোরিয়ানদের। এসময় তারা রেফারিকে ঘিরে ধরেন। তবে রেফারি তাতে পাত্তাই দেননি। কোরিয়ান কোচকে দেখান লাল কার্ড।
দারুণ লড়াইয়ের এক ম্যাচে ঘানা ৩-২ গোলে হারিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়াকে। প্রথমার্ধের দুই গোল আর দ্বিতীয়ার্ধের তিন গোলেই উত্তেজনার ম্যাচটি শেষ হয়েছে ঘানার জয়ে। প্রথমার্ধে লিড নেওয়া ঘানা দ্বিতীয়ার্ধে পয়েন্ট হারানো শঙ্কায় পড়েছিলো। দক্ষিণ কোরিয়া মিনিট তিনেকের ব্যবধানে ফিরে আসে ম্যাচে।
তবে শেষ পর্যন্ত আর পয়েন্ট হারাতে হয়নি ঘানাকে। কুদ্দুস নিজের জোড়া গোল পূর্ণ করে নিশ্চিত করেন ঘানার জয়। তবে শেষ পর্যন্ত আর পয়েন্ট হারাতে হয়নি ঘানাকে। ম্যাচের ২৪ত মিনিটেই ঘানাকে এগিয়ে দেন সালিসু। তার দারুণ এক গোলে ঘানা এগিয়ে যায় ১-০ ব্যবধানে।
প্রথমার্ধেই কুদ্দুস ব্যবধান বাড়িয়ে নেন। লিড নেওয়ার মিনিট দশেক পরেই তিনি করেন দ্বিতীয় ম্যাচ। ম্যাচের ৩৪তম মিনিটে ঘানা এগিয়ে যায় ২-০ গোলে। পিছিয়ে পড়া কোরিয়ানরা প্রথমার্ধে আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি।
বিরতির পর খেলা শুরু হলে দক্ষিণ কোরিয়ে ম্যাচে ফিরতে মরিয়া হয়ে উঠে। একের পর এক আক্রমণ শানাতে থাকে দলটি। ম্যাচের ৮৫তম মিনিটে চু গুয়ে সুং দারুণ এক গোলে ব্যবধান করেন ২-১। কোরিয়ানদের এই গোল দাতা মিনিট তিনেক পরেই সমতায় ফেরান দলকে। ম্যাচের ৬১তম মিনিটে তার জোড়া গোলে কোরিয়া ম্যাচের স্কোর লাইন করে ফেলে ২-২।
সমতায় থাকা ম্যাচে এরপরই দুই দলই সমান তালে খেলতে থাকে। একের পর এক আক্রমণে ব্যস্ত রাখে প্রতিপক্ষকে। সাত মিনিট পরেই ঘানাকে আবারো এগিয়ে দেন কুদ্দুস। ম্যাচের ৬৮তম মিনিটে তার জোড়া গোলে ঘানারা এগিয়ে যায় ৩-২ ব্যবধানে।
পিছিয়ে পড়া দক্ষিণ কোরিয়া শেষ দিকে একাধিক আক্রমণ করেও আর বিশ্বকাপে টিকে থাকতে পারেনি। ৩-২ গোলের হারে তাদের বিদায় অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যায়। দুই ম্যাচের একটিতে জয় ও একটিতে ড্র’য়ে গ্রুপ থেকে সবার আগে বিদায় নিলো দক্ষিণ কোরিয়া।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০