নিজস্ব প্রতিবেদক:: লক্ষ্য ১৮৫ রান। ওপেনিংয়ে ফেরা লিটনে দুর্দান্ত শুরু বাংলাদেশের। ৭ ওভার শেষে কোনো উইকেট না হারিয়েই ৬৬ রান। ভারতের মতো দলে বিপক্ষে স্বস্তির স্কোর। বেরসিক বৃষ্টি তখনি দিলো বাগড়া। ম্যাচ হলো বন্ধ।
বৃষ্টি থামার পর বাংলাদেশ যখন শুরু করলো, শুরুতেই থেমে যেতে হলো লিটনকে। তার রানআউটেই বাংলাদেশের সবর্নাশের শুরুটা। অষ্টম ওভারের দ্বিতীয় বলে লুকেশ রাহুলের দারুণ এক থ্রুতে লিটন রানআউটে কাটা পড়লে ম্যাচ থেকেও ছিটকে পড়ে বাংলাদেশ। এরপর কেবল যাওয়া-আসার মিছিল। সেই পুরনো চিত্র। হতাশার আরো একটি হার। রোহিত শর্মাদের বিপক্ষে ডিএল মেথডে বাংলাদেশের হার ৫রানের।
দুর্ভাগা রানআউটে বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল ব্যাটার লিটন দলীয় ৬৮ রানের মাথায় সাজঘরে ফিরেছেন। ২৭ বলে সাত চার ও তিন ছক্কায় ৬০ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি। দশম ওভারের প্রথম বলে দলীয় ৮৪ রানে শান্ত ফিরেন প্যাভেলিয়নে। শামিকে তুলে মারতে গিয়ে যাদবের হাতে ধরা পড়েন তিনি। ২৫ বলে করেন ২১ রান।
১৮৫ রানের টার্গেটে খেলতে নামা বাংলাদেশ ৭ ওভারে ৬৬ রান তোলার পর বৃষ্টি আসায় ওভার কার্টেল হয়েছে। ডিএল মেথডে বাংলাদেশের টার্গেট ১৬ ওভারে ১৫১ রান। অর্থাৎ বাকী ৯ ওভারে বাংলাদেশকে করতে হবে ৮৫ রান।
রোহিত শর্মাদের দেওয়া ১৮৫ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ দারুণ শুরু করেছে।
বৃষ্টির আগ পর্যন্ত বাংলাদেশ দল ৭ ওভারে ৬৬ রানে তুলেছে কোনো উইকেট না হারিয়েই। এরপরই লিটনকে হারায় টাইগাররা। ইনিংসের অষ্টম ওভারের দ্বিতীয় বলে দলীয় ৬৮ রানে লিটন দাস রানআউটে প্যাভেলিয়েন ফিরেন। সাত চার ও তিন ছক্কায় মাত্র ২৭ বলে ৬০ রান করেন তিনি।
লিটনের বিদায়ের পর উইকেটে আসা সাকিবকে নিয়ে মারমুখী হন শান্ত। তবে তিনি খুব একটা সফল হননি। দলীয় ৮৪ রানে দ্বিতীয় উইকট হারায় টাইগাররা। ইনিংসের দশম ওভারের প্রথম বলে ব্যক্তিগত ২৫ বলে ২১ রানে শান্ত ফিরে যান সাজঘরে।
দলীয় শতকের আগেই তৃতীয় উইকেট হারায় সাকিবের দল। ১২তম ওভারের প্রথম বলে দলীয় ৯৯ রানে ব্যক্তিগত ৩ রানে আফিফও ফিরে যান। এরপরই প্যাভেলিয়নের পথ ধরেন অধিনায়ক সাকিব। অর্শ্বদ্বীপ একই ওভারের শেষ বলে সাকিবকেও ক্যাচে পরিণত করেন। দলীয় ১০০ রানে চতুর্থ উইকেটে বিদায় হন অধিনায়ক। ১২ বলে ১৩ রান করেন তিনি। এরপর রাব্বি ও মোসাদ্দেকরাও ফিরেন দ্রুত।
শেষ ওভারের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিলো ১৭ রান। সোহান আর তাসকিনরা নিতে পারেন ১২ রান। তাতেই বাংলাদেশ থেমে যায় ৬ উইকেটে ১৪৫ রানে। দুই চার ও এক ছয়ে ১৪ বলে সোহান ২৫ রানে ও ৭ বলে ১২ রানে অপরাজিত ছিলেন।
টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৮৪ রানের সংগ্রহ পায় ভারত। জিততে হলে বাংলাদেশের দরকার ১৮৫ রান। কেএল রাহুল-বিরাট কোহলির ফিফটিতে রান পাহাড় গড়েছে রোহিত শর্মার দল। আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই রোহিত শর্মার উইকেট হারায় ভারত। এরপর অবশ্য ব্যাট হাতে ঝড়ো ফিফটি হাঁকান কেএল রাহুল।
ফিফটির পরই আউট হয়ে যান ভারতের ওপেনার রাহুল। ৩১ বলে ফিফটি করা এই ডানহাতি মুস্তাফিজুর রহমানের ক্যাচে সাজঘরে ফেরেন। আউট হওয়ার আগে করেন ৩২ বলে ৩ চার ও ৪ ছক্কায় ৫০ রান। এরপর ১৬ বলেই ৪ বাউন্ডারিতে ৩০ রান তুলে ফেলা সুর্যকুমার যাদবকে দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে বোল্ড করেছেন সাকিব
এর আগে ইনিংসের শুরুতে রোহিত শর্মার ক্যাচ ফেলেছিলেন হাসান মাহমুদ। ক্যাচ ফেলার পর সেই হাসানকেই বোলিংয়ে আনেন সাকিব আল হাসান। এরপর এই পেসারই ফেরালেন রোহিতকে! অফ স্টাম্পের বাইরের বল কাট করেছিলেন ভারত অধিনায়ক, ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে সরাসরি ক্যাচ তালুবন্দি করেছেন ইয়াসির আলী। রোহিত ফিরেছেন ৮ বল খেলে ২ রান করে।
এরপর হার্দিক পান্ডিয়াও সুবিধা করতে পারেননি। ইনিংসের ১৬তম ওভারের প্রথম বলেই তাকে ফেরান হাসান মাহমুদ। বাউন্সি ডেলিভারিতে ব্যাট ছুঁইয়ে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ইয়াসিরকে সহজ ক্যাচ দেন হার্দিক (৬ বলে ৫)। ৩৭ বলে ফিফটি করেন কোহলি। শরিফুলের ওই ওভারেই রানআউট হন দিনেশ কার্তিক (৫ বলে ৭)। তবে কোহলি অপরাজিত থাকেন শেষ পর্যন্ত। ৪৪ বলে ৮ চার আর ১ ছক্কায় ৬৬ রানের ইনিংস খেলেন তিনি
শরিফুল ইসলাম ৪ ওভারে ৫৭ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন। হাসান মাহমুদ ৪৭ রানে নেন ৩টি উইকেট। ৩৩ রানে ২ উইকেট শিকার সাকিবের।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০0