নিজস্ব প্রতিবেদকঃ শেষ রক্ষা হলো না আর। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারতে হলো বাংলাদেশ দলকে। সিরিজের পঞ্চম ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়ের কাছে ৮ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হেরেছে স্বাগতিকরা। বাংলাদেশের দেওয়া ১৫৮ রানের লক্ষ্য ৯ বল হাতে রেখেই টপকে যায় সফরকারীরা। যেখানে মূল কৃতিত্ব ব্রায়ান বেনেট ও সিকান্দার রাজার ঝড়ো দুটি ফিফটির ইনিংস।
এই জয়ে হোয়াইটওয়াশ এড়াল জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশ সিরিজ শেষ করল ৪-১ ব্যবধানে জিতে।
বাংলাদেশের দেওয়া ১৫৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ইনিংসের শুরু থেকেই এদিন সাবলীল জিম্বাবুয়ের ব্যাটাররা। ৪.১ ওভার স্থায়ী ৩৮ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙে মারুমানি ১ রান করে ফিরলে। তাকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দেন সাকিব আল হাসান। তবে টপ অর্ডারে নামা অধিনায়ক সিকান্দার রাজাকে সাথে নিয়ে ৭৫ রানের দারুণ এক জুটি গড়ে দলকে জয়ের ভিত গড়ে দেন আরেক ওপেনার ব্রায়ান বেনেট।
ওপেনিংয়ে ঝড়ো ফিফটি হাঁকানো বেনেট ৭০ রান করে সাইফুদ্দিনের শিকার হয়ে ফিরলে ভাঙে সেই জুটি। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের প্রথম পঞ্চাশোর্ধ ইনিংসটি ৪৯ বলে সাজিয়েছেন ৫টি করে চার ও ছক্কার মারে। তবে এরপর আর কোনো উইকেট হারাতে দেননি রাজা। ক্রিজে আসা জোনাথন ক্যাম্পবেলকে সাথে নিয়ে ১৮.৩ ওভারেই দলকে একেবারে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। ক্যারিয়ারের ১৩তম টি-টোয়েন্টি ফিফটি হাঁকিয়ে ৪৬ বলে ৬ চার ও ৪ ছক্কায় ৭২ রান করে অপরাজিত থাকেন এই তারকা। ৮ রানে অপরাজিত থাকেন ক্যাম্পবেল।
বাংলাদেশের হয়ে ৪ ওভারে মাত্র ৯ রান খরচ করে ১ উইকেট শিকার করেন সাকিব। ১টি উইকেট পেলেও, ৪ ওভারে ৫৫ রান করেন মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন।
এর আগে মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে একাদশে তিন পরিবর্তন নিয়ে ব্যাট করতে নেমে বিপর্যয়ে পড়লেও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও জাকের আলী অনিকের উপর ভর করে ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৫৭ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। দলীয় মাত্র ১৫ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসে স্বাগতিকরা। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথমে ব্লেসিং মুজারাবানির বলে পুল করতে গিয়ে ২ রান করে ফিরেছেন তানজিদ হাসান তামিম।
ছক্কা মেরে দারুণ কিছুর ইঙ্গিত সৌম্য সরকার ফেরেন পরের ওভারেই। স্পিনার ব্রায়ান বেনেটের বলে আউট হওয়ার আগে করলেন ৭ বলে ৭ রান। ক্রিজে এসে ৬ বলে মাত্র ১ রান করে বেনেটের দ্বিতীয় শিকার হয়ে বিদায় নেন তাওহীদ হৃদয়।
এরপর বাংলাদেশের হাল ধরেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও নাজমুল হোসেন শান্ত। চতুর্থ উইকেটে দুজনে মিলে গড়েন ৬৯ রানের জুটি। বারবার ব্যর্থ হতে থাকা শান্ত এ ম্যাচে ২৮ বলে ৩৬ রান করে আউট হন। ওয়েলিংটন মাসাকাদজার ওভারে রায়ান বার্লকে ক্যাচ দেন তিনি। ৩৬ বলে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের অষ্টম ফিফটি পূর্ণ করেন রিয়াদ। অন্যপ্রান্তে আগ্রাসী ছিলেন সাকিব আল হাসানও। তবে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তিনি। লুক জংউইর ওভারে দারুণ এক ক্যাচে তাকে ফেরান জনাথন ক্যাম্পবেল। ১৭ বল ২১ রান করেন বাংলাদেশ অলরাউন্ডার।
৩৫ বলে ফিফটি পূর্ণ করলেও ৪৪ বলে ৫৪ রান করে থামেন রিয়াদ। ইনিংসে ৬টি চার ও ১টি ছয় হাঁকান তিনি। সাকিব আউট হওয়ার পর ক্রিজে আসা জাকের খেলেন ১১ বলে ২৪ রানের ক্যামিও। তাতেই মূলত দেড়শ ছাড়ানো সংগ্রহ পায় টাইগাররা। সাইফউদ্দিন ৪ বলে করেন ৬ রান।
জিম্বাবুয়ের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন মুজারাবানি ও বেনেট। ১টি করে উইকেট নেন মাসাকাদজা ও জংউই।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/সা
Discussion about this post