স্পোর্টস ডেস্ক:: সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচে বেরসিক বৃষ্টি বাগড়া দিয়েছে নিউজিল্যান্ডকে। ৪৯ রান তুলতেই পাঁচ উইকেট হারানো নিউজিল্যান্ড ষষ্ট উইকেটে জয়ের পথে এগুচ্ছিলো। ইনিংসের ১৫তম ওভারে বৃষ্টি শুরু হলে আম্পায়ারা ম্যাচ বন্ধ রাখেন। ততোক্ষণে স্বাগতিকরা ৯৫ রান তুলেছে ৫ উইকেটে।
১১১ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নামা নিউজিল্যান্ড ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের চতুর্থ বলে মেহদীর বলেওপেনার টিম সেইফার্টকে হারায়। দলীয় ১৬ রানে প্রথম উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। তিন বলে ১ রান করেন এই ওপেনার।
পরের ওভারেই মেহদী ফিরিয়ে দেন ডেরিল মিচেলকে। ইনিংসের চতুর্থ ওভারের চতুর্থ বলে দলীয় ২৬ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। ৫ বলে ১ রান করেন মিচেল। এরপরই উইকেটে আঘাত করেন শরিফুল। পঞ্চম ওভারের শেষ বলে দলীয় ৩০ রানে তার শিকারে তৃতীয় উইকেট হারায় কিউরা। ৪ বলে ১ রান করা গ্লেন ফিলিপস ফিরেন সাজঘরে।
ইনিংসের সপ্তম ওভারের পঞ্চম বলে রান নিতে গিয়ে মুস্তাফিজের দারুণ এক থ্রোতে রানআউটে কাটা পরেন মার্ক চ্যাপম্যান। দলীয় ৩৯ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। ৫ বলে ১ রান করেন এই ব্যাটার।
এরপরই দলকে বড় সাফল্য এনে দেন শরিফুল। কিউদের ইনিংস আগলে রাখা ওপেনার ফিন অ্যালেনকে সাজঘরে পাঠান তিনি।ইনিংসের নবম ওভারের তৃতীয় বলে দলীয় ৪৯ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় স্বাগতিকরা।চার চার ও দুই ছয়ে ২১ বলে ৩৮ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে প্যাভেলিয়নে ফিরেন কিউ ওপেনার।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ১৪.৪ ওভার পাঁচ উইকেটে ৯৫ রান। ২৮ রানে জিমি নিশাম ও ১৮ রানে মিচেল স্যান্টনার অপরাজিত আছেন।
এর আগে প্রথমবারের মতো নিউজিল্যান্ডের মাটিতে টি-২০ সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে বাংলাদেশ পূঁজি পেয়েছে মাত্র ১১০ রান। টস হেরে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ মিচেল স্যান্টনারের স্পিন ঘূর্ণিতে ১১০ রান তুলেছে।
আগে ব্যাটিংয়ে নামা টাইগাররা ইনিংসের প্রথম ওভারের চতুর্থ বলে দলীয় ৪ রানের মাথায় টিম সাউদি বলে এলবিডাব্লিউ’র ফাঁদে পড়েন সৌম্য সরকার। চার বলে এক বাউন্ডারিতে চার রানই করেছেন তিনি। দ্বিতীয় উইকেটে শান্ত ও রনি জুটি গড়ার চেষ্টা করেন। তবে পরপর দুই ওভারে দু’জনেই বিদায় নেন।
ইনিংসের পঞ্চম ওভারের দ্বিতীয় বলে দলীয় ৩১ রানের মাথায় অধিনায়ক শান্ত ব্যক্তিগত ১৭ রানে প্যাভেলিয়েন ফেরেন। ১৫ বলের ইনিংসে বাউন্ডারি মেরেছেন ৪টি।তার বিদায়ের পরের ওভারের ফিরেন রনিও। ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারের তৃতীয় বলে দলীয় ৪১ রানের মাথায় তৃতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। দুই চারে ১০বলে ১০ রান করেন রনি।
চতুর্থ উইকেটে হৃদয়কে নিয়ে প্রতিরোধের চেষ্টায় ছিলেন আফিফ। তবে তিনিও পারেননি। ইনিংসের নবম ওভারের চতুর্থ বলে দলীয় ৫৯ রানের মাথায় সাজঘরে ফিরেন তিনি। ১৩ বলে দুই বাউন্ডারিতে ১৪ রান করেন আফিফ।
আফিফের বিদায়ের পর স্কোর বোর্ডে ৬ রান তুলতেই প্যাভেলিয়নের পথ ধরেন তাওহীদ হৃদয়। ইনিংসের ১১তম ওভারের শেষ বলে দলীয় ৬৮ রানের মাথায় মিচেল স্যান্টনারের বলে টিম সেইফার্টের হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। দুই চারে ১৮ বলে করেন ১৬ রান। শেষ দিকে শামীম ও রিশাদের ৯ রান করে সংগ্রহের সুবাদে ১৯.২ওভারে ১১০ রানে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে মিচেল স্যান্টনার ৪টি, টিম সাউদি ও অ্যাডাম মিলানরা ২টি করে উইকেট লাভ করেন।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০
Discussion about this post