নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) চলতি আসরে জয় দিয়ে গ্রুপ পর্ব শেষ করলো আবাহনী লিমিটেড। নিজেদের শেষ ম্যাচে সিটি ক্লাবকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে দলটি। বোলারদের নৈপুণ্যের পর ব্যাট হাতে নাজমুল হোসেন শান্তর সেঞ্চুরিতে জিতেছে দলটি।
সাভারের বিকেএসপিতে সিটি ক্লাবের দেওয়া ১৭৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইনিংসের শুরুতেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন দুই ইনফর্ম ওপেনার নাঈম শেখ ও এনামুল হক বিজয়। দলীয় ৭ রানের মাথায় বিদায় নেন দুজন। এর মধ্যে ডাক মারেন নাঈম আর বিজয় করেন ১ রান।
তবে তৃতীয় উইকেটে ১০৫ রানের জুটি গড়েন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মাহমুদুল হাসান জয়। ধীর গতির ব্যাটিংয়ে ৬৯ বলে ৩৯ রান করা জয়ের বিদায়ে ভাঙে সেই জুটি। এরপর আফিফ হোসেন ধ্রুব এসে ডাক মেরে ফিরে যান। অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতও ১১ রানের বেশি করতে পারেননি।
তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে খেলতে থাকা শান্ত ষষ্ঠ উইকেটে রিশাদকে সাথে নিয়ে ৩২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে ৮৯ বল বাকি থাকতেই আবাহনীকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান। ডিপিএলে চলতি আসরে প্রথম সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে শান্ত অপরাজিত থাকেন ১০২ রানে। ১১২ বলের ইনিংস সাজান ১১ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায়। অপরপ্রান্তে ১২ রান করে অপরাজিত থাকেন রিশাদ।
সিটি ক্লাবের হয়ে রবিউল হক একাই ৪ উইকেট শিকার করেন।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৩৯.২ ওভারেই মাত্র ১৭২ রানে অলআউট হয়ে পড়ে সিটি ক্লাব। ইনিংসের শুরুটা ভালো হয় দলের। ৩৯ রানের উদ্বোধনী জুটির পর ৮৮ রানের মাথায় দ্বিতীয় উইকেট হারায় সিটি। তবে এরপর হারিয়ে ফেলে খেই। একের পর এক উইকেট হারিয়ে শেষ পর্যন্ত গুঁটিয়ে যায় দলীয় দুইশ রানের আগেই।
সিটি ক্লাবের হয়ে একাই ৭৯ রানের ইনিংস খেলেন ওপেনার তৌফিক খান তুষার। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৫১ বলে ৭ বাউন্ডারি ও ৬ ছক্কার মারে নিজের ইনিংসটি সাজান তুষার। অনেকটা কাছে গিয়েও সেঞ্চুরি মিস করেছেন। এর বাইরে ২২ রান আসে আব্দুল্লাহ আল মামুনের ব্যাট থেকে।
আবাহনীর হয়ে একাই ৪ উইকেট শিকার করেন লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। তানভীর ইসলাম ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ২টি করে উইকেট লাভ করেন।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/সা
Discussion about this post