নিজস্ব প্রতিবেদকঃ প্রথম কোয়ালিফায়ারে বাজে ব্যাটিং দেখাল সিলেট স্ট্রাইকার্স। মাত্র ১২৫ রানেই গুঁটিয়ে গেছে দলটির ইনিংস। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বোলারদের সামনে ব্যর্থ হয়েছে হৃদয়-জাকিররা। মাশরাফী বিন মোর্ত্তাজা ঝড় তুলেছিলেন। তবে উইকেটে থিতু হয়েও বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হয়েছেন শান্ত-মুশফিকরা। বিপিএলের ফাইনালে যেতে হলে কুমিল্লার প্রয়োজন ১২৬ রান।
মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে স্ট্রাইকার্সরা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে গাফারির উইকেট হারানোর পর একই ওভারের তৃতীয় বলে রান আউটের শিকার হয়ে ফিরেন ইনফর্ম হৃদয়। তৃতীয় ওভারের শেষ বলে জাকির হাসানকে ফিরিয়ে বড় ধাক্কা দেন মঈন আলি।
তিন উইকেট হারানো সিলেটের ত্রাতা হতে উইকেটে চলে আসেন অধিনায়ক মাশরাফী। উইকেটে এসে ঝড় তুলেন তিনি। দলকে অনেকটা বিপদমুক্ত করেন ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্তর সাথে ৫৬ রানের জুটি গড়ে। ১৭ বলে ২টি করে চার ও ছয়ের মারে ২৬ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ম্যাশ।
দ্রুতই বিদায় নেন শান্তও। ২৯ বলে ৪ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ৩৮ রান করেন শান্ত। উইকেটে যখন থিতু হওয়ার প্রয়োজন ছিল, তখনই উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এসে বিপদ বাড়িয়ে দেন তিনি। অবশ্য এর আগে বিপিএলের প্রথম ব্যাটার হিসেবে চলমান আসরে ৪০০ রান পূরণ করে যান। শান্তর বিদায়ের পরের বলেই গোল্ডেন ডাক মেরে ফিরেন সদ্য উইকেটে আসা রায়ান বার্ল। হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়েও, হ্যাটট্রিক করতে পারেননি তানভীর।
পরবর্তীতে জর্জ লিন্ডের সাথে ৩৯ রানের জুটি গড়ে দলকে শত রানের কোটা পার করাতে সাহায্য করেন মুশফিকুর রহিম। কিন্তু এই জুটি ভেঙে মুশফিক ফিরলে, তাতে ফের ধাক্কা খায় সিলেট। শেষ পর্যন্ত আর বড় স্কোর গড়তে পারেনি। ১৭.১ ওভারেই ১২৫ রানে অলআউট হয়ে যায়। ৪ বাউন্ডারিতে ২২ বলে ২৯ রান করেন মুশফিক। ১৪ বলে ১ ছয়ের মারে ১৩ রান করেন লিন্ডে।
কুমিল্লার হয়ে সবাই দারুণ বোলিং করেন। ছয় বোলারের সবাই পেয়েছেন উইকেটের দেখা। এর মধ্যে তানভীর ইসলাম, আন্দ্রে রাসেল ও মুস্তাফিজুর রহমান ২টি করে উইকেট লাভ করেন।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/সা
Discussion about this post