স্পোর্টস ডেস্ক:: একটা সময় ছিলো ম্যাচ পেতো না বাংলাদেশ। ম্যাচের জন্য হাহাকার করতে হতো বিসিবিকে। এবার সময় পাল্টেয়েছে। এখন অনেকেই খেলতে চায় বাংলাদেশের সাথে। তাই সামনে ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রাম (এফটিটি) ঠাসা বাংলাদেশের ম্যাচে। ২০২৭ সাল পর্যন্ত একাধিক সিরিজ টাইগারদে। তিন ফরম্যাটে অন্য দলগুলোর চেয়ে বেশি খেলবে বাংলাদেশ দল।
এতো বেশি খেলা যে, বিসিবি চিন্তায় পড়েছে। খেলোয়াড়দের ফিট এবং তাদের বিশ্রাম নিয়ে ভাবতে হচ্ছে বিসিবিকে। টানা খেললে ক্লান্ত হবেন ক্রিকেটাররা। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ম্যাচ কমাতে চায় না। যা পাওয়া গেছে, সবগুলো খেলতে চায়। যাদের কথা দেওয়া হয়েছে, তাদের সঙ্গে সিরিজ মিস করতে চায় না বিসিব।
বেশি খেলা থাকায় পেসারদের নিয়ে ভাবতে হচ্ছে বিসিবিকে। ক্রিকেট বোর্ড চিন্তা করছে পেসারদের ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেলানোর। বিশ্রাম দিয়ে দিয়ে যাতে খেলতে পারেন ক্রিকেটাররা, সেই লক্ষ্য ক্রিকেট বোর্ডের। বোর্ড কর্তারা বলছেন ব্যাটার এবং স্পিনারদের খুব একটা সমস্যা হবে না। বেশি ম্যাচ হলেও তারা খেলতে পারবেন। তবে পেসারদের বিশ্রাম দিতে হবে।
আগে খেলা পাওয়া যেতো না জানিয়ে বিসিবির পরিচালক ও ক্রিকেট অপারেশন্স বিভাগের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জালাল ইউনুস বলেন, ‘এফটিপি অলমোস্ট লক হয়ে গিয়েছে। সেখানে ২০২৩-২৭ এই চক্রে ৩৮-৪০টার মতো টেস্ট থাকবে। ৭০টার মতো টি-২০ ম্যাচ আছে, ৭০টার মতো ওয়ানডেও আছে। কয়েক বছর আগেও এমন দেখা গেছে যে আমাদের তেমন একটা খেলা থাকত না। আমরা খেলার জন্য চেষ্টা করতাম, এফটিপিতে সেরকম সূচি পাওয়া যেত না।’
পেসারদের ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে বিশ্রাম দিয়ে খেলানো হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এই চক্রে আমাদের খেলতেই হবে। পেশাদার হতে হলে আমাদের খেলতেই হবে। এখান থেকে বের হয়ে আসার উপায় নেই। খেলোয়াড়দের একটা বিশ্রাম দেয়ার ব্যাপার থাকে। মূলত বিশ্রাম দরকার হয় পেস বোলারদের। সূচি অশন ব্যস্ত হলে তাদের ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেলানোর ব্যবস্থা আমরা করতে পারি। বাকি যারা ব্যাটার ও স্পিনার আছেন, আমি মনে করি না তাদের এই ব্যস্ত সূচিতে কোনো সমস্যা হবে।’
অনুশীলন এবং বিশ্রাম গুছিয়ে পরিকল্পনা মাফিক করতে হবে জানিয়ে তিনি আরো বলেন ‘যেটা আমাদের করতে হবে যে সামনে যে সিরিজগুলো রয়েছে, সেগুলোর জন্য আরো বেশি গুছানো অনুশীলন ও বিশ্রাম সেশন ঠিকভাবে করতে পারি, তাহলে ২০২৭ পর্যন্ত আমরা ঠিক ভাবেই সব করতে পারব।’
ম্যাচ কমানো সম্ভব নয় জানিয়ে জালাল ইউনুস বলেন, ‘২০২২ সালে একটু ঠাসা সূচি। ২০২৩-২৪ সালে সামনে গেলে দেখা যাবে এত ব্যস্ত সূচি নেই। কিছু সিরিজ চূড়ান্ত করে ফেলেছি হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে দুটোই। আমরা সামনে দেখব। তবে ২০২৭ পর্যন্ত যেসব খেলার প্রতিশ্রুতি রয়েছে এখান থেকে কমানো সম্ভব নয়।’
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০