স্পোর্টস ডেস্ক:: শুরুর বিপর্যয় কাটিয়ে বাংলাদেশ আফিফ ও সোহানের ব্যাটে ১৫৯ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় সংযুক্ত আরব-আমিরাতকে। চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্যে খেলতে নামা স্বাগতিকদের চেপে ধরেছে বাংলাদেশ। অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজের দুর্দান্ত শিকারে শতরানের আগেই পাঁচ উইকেট হারিয়েছে স্বাগতিকরা।
আমিরাতের উইকেটের পতনের শুরুটা হয় রানআউটের শিকারে। ইনিংসের পঞ্চম ওভারের দ্বিতীয় বলে দলীয় ২৭ রানেই রানআউটে ওপেনার মোহাম্মদ ওয়াসিম। ১৫ বলে ১৫ রান করেন তিনি। দ্বিতীয় উইকেটে চিরাগ সুরি ও আরিয়ান লাকার ৩৯ রানের জুটিতে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে দলটি।
দলীয় ৬৬ রানে, ইনিংসের অষ্টম ওভারের শেষ বলে চেরা সুরির বিদায়ের ভাঙে তাদের প্রতিরোধের জুটিটি। সাত চারে ২৪ বলে ৩৯ রান করেন তিনি। এরপরই ভেঙে পড়ে স্বাগতিকদের ব্যাটিং লাইন। দলীয় ৭৭ রানেই তৃতীয় উইকেট হারায় দলটি। নবম ওভারের তৃতীয় বলে মিরাজের দ্বিতীয় শিকারে আরিয়ান লাকরাল ১৫ বলে ১৯ রানে ফিরেন প্যাভেলিয়নে। এক চার ও এক ছয়ে সাজানো ছিলো তার ইনিংসটি।
১১তম ওভারের পঞ্চম বলে দলীয় ৮৩ রানের মাথায় চতুর্থ উইকেটে অধিনায়ক রিজওযান সিপিকে প্যাভেলিয়েন পাঠান মুস্তাফিজুর রহমান। ৫ রান করেন তিনি। ৯৩ রানেই পঞ্চম উইকেট হারায় দলটি। ১৩তম ওভারের তৃতীয় বলে বাসিল হামিদকে সাজঘরের পথ ধরান শরিফুল। ২ রানেই থামে তার ইনিংস। শত রানের আগেই ষষ্ট উইকেট হারায় দলটি। ৯৮ রানের মাথায় ইনিংসের ১৪তম ওভারের দ্বিতীয় বলে বৃত্ত অরবিন্দকে ব্যক্তিগত ১৬ রানে সাজঘরে ফেরত পাঠান মিরাজ।
শতরান পেরিয়েই সপ্তম উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। দলীয় ১০২ রানের মাথায় ১১তম ওভারে ২ রান করা ফরিদ রানআউটের শিকারে ফিরেন প্যাভেলিয়নে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত স্বাগতিকদের সংগ্রহ ১৬.২ ওভারে সাত উইকেটে ১১৮ রান।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ পঞ্চম উইকেটে আফিফ-সোহানের ব্যাটে চড়ে ৫ উইকেটে ১৫৮ রানের চ্যালেঞ্জিং পূঁজি পায়।
ইনিংস উদ্বোধন করতে নামেন সাব্বির রহমান ও মেহেদী হাসান মিরাজ। ওপেনার সাব্বির রহমান রানের খাতা খুলার আগেই ফিরেন সাজ ঘরে। দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলেই দলীয় ১১ রানের মাথায় সাব্বির রহমান শুন্য রানে ফিরেন সাজঘরে। তাদের বিদায়ের পর তিনে নামা লিটন দাসও বেশি দূর যেতে পারেননি।
তৃতীয় ওভারের পঞ্চম বলে দলীয় ২৬ রানের মাথায় সাজঘরে ফিরেন লিটন দাস। তিন চারে ৮ বলে ১৩ রান করেন তিনি। তার দেখানো পথেই হাটেন ওপেনার মেহেদী হাসান মিরাজ। পঞ্চম ওভারের চতুর্থ দলে দলীয় ৩৫ রানের মাথায় তৃতিয় উইকেট হারায় টাইগাররা। এবার সাজঘরে ফিরেন ১২ বলে ১৪ রান করা মিরাজ।
দ্রুত তিন উইকেট হারানো বাংলাদেশ অর্ধশতের ঘরে পৌছার আগেই হারায় চতুর্থ উইকেট। দলীয় ৪৭ রানের মাথায় প্যাভেলিয়নের পথ ধরেন ইয়াসির আলী। চোট কাটিয়ে দলে ফেরা এই ব্যাটার ৭ বলে মাত্র ৪ রান করেন। ১১তম ওভারের শেষ বলে দলীয় ৭৭ রানের মাথায় পঞ্চম উইকেট হারায় টাইগাররা। ৮ বলে ৩ রান করে সাজঘরে ফিরে যান মোসাদ্দেক হোসেন।
শঙ্কা উড়িয়ে পরের গল্পটা কেবল আফিফ আর সোহানের। ষষ্ট উইকেট জুটিতে দু’জনে মিলে যোগ করেন ৮১ রান। সাত চার ও তিন ছক্কায় ৫৫ বলে ৭৭ রানের ঝলমলে এক ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন আফিস। অধিনায়কোচিত ইনিংসে সোহান দু’টি করে চার ও ছক্কায় ২৫ বলে ৩৫ রানে থাকেন অপরাজিত।
সংযুক্ত আরব-আমিরাতের হয়ে কার্তিক ২টি উইকেট লাভ করেন।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০