নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ২৫তম জাতীয় ক্রিকেট লিগে প্রথম রাউন্ডের মতো দ্বিতীয় রাউন্ডেও হারল সিলেট বিভাগ। আগের রাউন্ডে ঢাকা মেট্রোর কাছে বড় হারের স্বাদ পাওয়া জাকির হাসানের দল আজ হেরেছে ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে। প্রথম স্তরের ম্যাচে শনিবার ৭ উইকেটে সিলেটকে হারিয়েছে ঢাকা। দুই ম্যাচেই ব্যর্থ সিলেটের ব্যাটাররা।
বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১১৬ রানে অলআউট হয়েছে সিলেট। ফলে ঢাকার সামনে ম্যাচ জিততে লক্ষ্য দাঁড়ায় মাত্র ৭২। সেই রান তাড়ায় আব্দুল মজিদ ও জয়রাজ শেখের ব্যাটে ৭ উইকেটের বড় জয় পায় ঢাকা। এর আগে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় সিলেট। আর শেষ পর্যন্ত অলআউট হয় ১১৬ রানে। ঢাকার হয়ে বল হাতে ৫ উইকেট নেন নাজমুল ইসলাম অপু। ৩ উইকেট শিকার করেন শুভাগত হোম।
প্রথম ইনিংসে অলআউট হওয়ার আগে সিলেটের পুঁজি দাঁড়ায় ২১২ রানে। অধিনায়ক জাকিরের ৮৫ ও শেষদিকে রেজাউর রহমান রাজা-আবু জায়েদ রাহীর ব্যাটে দুইশো ছাড়ানো সংগ্রহ পায় দলটি। জবাবে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ঢাকা সবকটি উইকেট হারিয়ে স্কোর বোর্ডে জমা করে ২৫৬ রান। ফিফটি হাঁকান রনি তালুকদার ও শুভাগত হোম। সিলেটের হয়ে ৩ উইকেট নেন খালেদ আহমেদ। ২টি করে উইকেটের দেখা পান রাহাতুল ফেরদৌস, রেজাউর রহমান রাজা ও শামসুর রহমান শুভ।
৪৪ রানে পিছিয়ে থেকে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে বিপর্যয়ে পড়ে সিলেট। শামসুর রহমান ছাড়া হাল ধরতে পারেন নি কোনো ব্যাটারই। দুই ওপেনার ইমতিয়াজ হোসেন তান্না ও মিজানুর রহমানের ওপেনিং জুটির স্থায়িত্ব ছিল মাত্র ১৬ রানের। ব্যক্তিগত ১১ রানে ফেরেন তান্না। দলীয় ৩৫ রানে মিজানুর রহমানও ফেরেন। তিনি করেন ১৫ রান। অধিনায়ক জাকির এই ইনিংসে ১৩ রানের বেশি করতে পারেন নি।
মিডল অর্ডারে আসদউল্লাহ গালিব-তৌফিক খান তুষারাও দলের হাল ধরতে পারেন নি। লিগের প্রথম রাউন্ডে ওপেনার হিসেবে খেলা তুষার এই ম্যাচে মিডল অর্ডারে ব্যাট করেন। রান পান নি ব্যাটিং পজিশন বদল করেও। দলের বিপর্যয়ে তিনি ব্যক্তিগত ৯ রানে ফেরেন তিনি। শামসুর রহমান করেন ইনিংস সর্বোচ্চ ২৯ রান।