স্পোর্টস ডেস্ক:: বিশ্বকাপ উত্তেজনা শুরু হয়ে গেছে। দলগুলো নিজেদের স্কোয়াডও ঘোষণা করছে। শেষ মুহুর্তের প্রস্তুুতিতে আয়োজক কাতারও। আর মাত্র ক’টা দিন বাদেই শুরু হবে বিশ্ব ফুটবলের লড়াই। বিশ্বের সেরা দল হওয়ার লড়াই। সেরা ৩২টা দল অংশ নিবে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লড়াইয়ে।
ব্রাজিল কোচ তীতে এরই মধ্যে দল ঘোষণা করে ফেলেছেন। সেই দলে সুযোগ পেয়েছেন তরুণ রিচার্লিসন। সবশেষ বিশ্বকাপে তিনি ছিলেন দলের বাইরে। আন্তর্জাতিক ফুটবলে তখনো পথচলা শুরু হয়নি তার। টিভিতেই দেখেছেন নেইমারদের বিশ্বসেরা হওয়ার লড়াই।
এবার রিচার্লিসন আছেন ব্রাজিলের বিশ্বকাপ দলে। অভিষেকের পর থেকেই দুর্দান্ত সময় কাটাচ্ছেন ব্রাজিলের জার্সিতে। ফিফা ডটকমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ব্রাজিলের জার্সি তাকে খুব মানায়। ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপের পর থেকে ব্রাজিল দলে তিনি নিয়মিতই আছেন। গোলও করছেন। নেইমারের পর তিনিই অন্যতম তারকা।
সাক্ষাৎকারে রিচার্লিসন বলেন, ‘যখনই আমি আমার শরীরে সেলেসাওদের জার্সি জড়িয়ে নেই, তখন এটা আমার খুব ভালো লাগে। এটা পরে আমি গোল করতে পারি, গোলে সহযোগিতা করতে পারি। এই জার্সির জন্য আমি সব করতে পারবো। আশা করি এটি চলমান থাকবে। আমি শেষবার যখন দেশের হয়ে অলিম্পিকে খেলেছিলাম, তখন আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতা ছিলাম। তাই আমি মনে করি, এই জার্সিটা আমাকে খুব মানায়।’
২০১৯ কোপা আমেরিকায় গোলের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, ‘আমি বলব, আমার সবচেয়ে প্রিয় গোলটি ছিলো কোপা আমেরিকার ফাইনালে। কারণ ওই গোলের কারণেই আমরা শিরোপা জিতেছিলাম এবং মারাকানা স্টেডিয়ামে দর্শকদের আনন্দিত করছিলাম। তখন আমার বয়স ছিল মাত্র ২২ বছর। পরে বন্ধু আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিল যে, আমি এই স্পট কিকটা নিতে পাগল ছিলাম কিনা। সে সময় আমি বলেছিলাম, না, কারণ আমি এর জন্য প্রশিক্ষণ নিয়েছি। আমি ছিলাম দলের তৃতীয় পেনাল্টি টেকার। নেইমার আমার চেয়ে এগিয়ে থাকলেও সে টুর্নামেন্টে ছিল না। এছাড়া কৌতিনহো মাঠ ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন, তাই আমিই বাকি ছিলাম।’
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০