নিজস্ব প্রতিবেদক:: বোলিং অলরাউন্ডার বিবেচনায় ব্যাটিংয়ের সুযোগ পান উপরে। সেই মেহেদী হাসান মিরাজই ধ্বংস স্তুপে দাঁড়িয়ে সেঞ্চুরি হাঁকালেন। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষেই তুলে নিলেন নান্দনিক এক শতক। তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার ছুঁয়ে শেষ পর্যন্ত থেকেছেন অপরাজিত।
তিন চার ও দুই ছক্কায় ৫৫ বলে ৫০ হাঁকানো মিরাজ স্বপ্নের তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার ছুঁয়েছেন ৮৩ বলে আট চার ও চার ছক্কায়। ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ লড়াইয়ের পূঁজি পেয়েছে তার ক্যারিয়ার সেরা এই ইনিংসেই।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে শ্বাসরুদ্ধকর জয়। দ্বিতীয় ম্যাচের শুরুতইেই হোঁচট। ৬৯ রানে ছয় উইকেট হারানো বাংলাদেশের হয়ে শতক হাঁকিয়ে সফরকারী ভারতের বিপক্ষে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জয়ের সুযোগ তৈরি করেছে। সপ্তম উইকেটে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মেহেদী হাসান মিরাজের ১৪৮ রানের বীরত্ব গাঁথা জুটিতে বড় সংগ্রহ পেয়েছে।
নির্ধারিত ওভারে টাইগাররা ভারতকে ২৭২ রানের টার্গেট দিয়েছে। বোলাররা জ্বলে উঠলে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জয় নিশ্চিত হয়ে যাবে স্বাগতিক বাংলাদেশের। মিরাজ ও মাহমুদউল্লাহর ঝলমলে ইনিংসেই বাংলাদেশ পেয়েছে জয়ের মতো লড়াইয়ের পূঁজি।
ওপেনার এনামুল হক বিজয়ের উইকেট হারিয়েই শুরু করেছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ওভারের পঞ্চম বলে দলীয় ১১ রানের মাথায় মোহামম্মদ সিরাজের শিকারে সাজঘরে ফিরেন বিজয়। দুই চারে ৯ বলে ১১ রান করেছেন তিনি।
ইনিংসের ১০ম ওভারের দ্বিতীয় বলে দলীয় ৩৯ রানের মাথায় লিটন দাসের স্ট্যাম্প ভেঙে দেন সিরাজ। ২৩ বলে এক চারে মাত্র ৭ রান করেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। তার বিদায়ের পর দারুণ শুরু করা শািন্তও ফিরেন সাজঘরে। তার বিদায়ে ১৪তম ওভারের প্রথম বলে দলীয় ৫২ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তিন চারে ৩৫ বলে ২১ রান করেন তিনি।
শান্তর বিদায়ের পর দলীয় ৬৬ রানে সাকিবের আউটে চতুর্থ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। একটি বাউন্ডারিতে ২০ বলে ৮ রান করেন এই অলরাউন্ডার। তার বিদায়ের পরপরই মুশফিকও ফিরেন সাজঘরে। ১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে দলীয় ৬৯ রানে ব্যক্তিগত ১২ রানে প্যাভেলিয়নে ফিরেন তিনি। ২৪ বলের ইনিংসে দু’টি বাউন্ডারি ছিলো তার।
অভিজ্ঞ এই ব্যাটারের বিদায়ের পর উইকেটে আসা আফিফ হোসেন ধ্রুব গোল্ডেন ডাক মারেন। ওভারের পরের বলটাতেই রানের খাতা খুলার আগে তিনি ফিরেন সাজঘরে। ৬৯ রানেই বাংলাদেশ হারিয়ে ফেলে ছয় উইকেট।
এরপর সপ্তম উইকেটে ভারতের প্রাচীর হয়ে দাঁড়ান মিরাজ এবং মাহমুদউল্লাহ। ১৬৫ বলের জুটিতে ১৪৮ রান তুলেন তারা। ইনিংসের ৪৭তম ওভারের প্রথম বলে রিয়াদ যখন আউট হন, দলের রান তখন ২১৭। সাত চারে ৯৬ বলে ৭৭ রানের ঝলমলে এক ইনিংস খেলেন বাংলার অভিজ্ঞ এই ব্যাটার।
রিয়াদের বিদায়ের পর উইকেটে আসা নাসুমও দারুণ ব্যাট করেন। মিরাজকে দেন যোগ্য সঙ্গ। ৮৩ বলে আট চার ও চার ছক্কায় ১০০ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন মেহেদী হাসান মিরাজ। দুই চার ও এক ছক্কায় ১১ বলে ১৮ রানে অপরাজিত থাকেন নাসুম।
ভারতের হয়ে ওয়াশিংটন সুন্দর ৩টি, উমরান মালিক ও মোহাম্মদ সিরাজ ২টি করে উইকেট লাভ করেন।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/০০