নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ৪৯ রানের জুটি ভেঙে ফিরে গেছেন স্যাম কারান। মিরাজের শিকারে পরিণত হন তিনি। এবার দ্রুতই এই জুটির আরেক কারিগর জেমস ভিন্সকে ফিরিয়ে দিল বাংলাদেশ। আর সেই উইকেটটি নিয়েছেন সাকিব আল হাসান। নিজের তৃতীয় শিকারে ভিন্সকে ফিরিয়ে ম্যাচ জমিয়ে তুলেন বাংলাদেশের সুপারস্টার।
২৭তম ওভারের পঞ্চম বলে উইকেটের পেছনে মুশফিকের রহিমের ক্যাচে ভিন্সকে পরিণত করেন সাকিব। এই বাঁহাতির গতিময় ঘূর্ণিতে বল বুঝতেই পারেননি ভিন্স। মিডল স্টাম্প থেকে বল টার্ন করে ব্যাটের কানায় লেগে চলে যায় উইকেটের পেছনে মুশফিকের কাছে। দুই বারের চেষ্টায় সেটি লুফে নেন অভিজ্ঞ মুশি। এক প্রান্ত আগলে রাখা ভিন্স ৪৪ বলে তিন বাউন্ডারি ও এক ছক্কায় ৩৮ রান করেন।
ভিন্সের বিদায়ে উইকেটে আসেন মঈন আলি। তবে তিনি টিকতে পারেননি বেশি সময়। পরের ওভারেই এবাদতের বলে বোল্ড আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। এবাদতের ঘন্টায় ১৪৩ কিলোমিটার গতির হাফ-ভলি বলে ফ্লিক করতে ব্যর্থ হলে, স্টাম্পে আঘাত হানে। মাত্র ২ রান করেই ড্রেসিং রুমের পথ ধরেছেন মঈন।
মঈনের বিদায়ে ইংল্যান্ডের বিপদ বাড়ে। বাংলাদেশ পাচ্ছে জয়ের সুবাতাস। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ইংল্যান্ডের সবশেষ সংগ্রহ ৩০ ওভারে ৬ উইকেটের বিনিময়ের ১৪১ রান। জিততে হলে ইংল্যান্ডকে ২০ ওভারে করতে হবে ১০৬ রান। আর বাংলাদেশের চাই ৪ উইকেট।
এর আগে ২৪৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা বেশ ভালোই করেছিল ইংল্যান্ড। তবে হুট করে সাকিব আল হাসানের স্পিন ঘূর্ণির সাথে এবাদত হোসেনের পেসে বিপাকে পড়ে সফরকারীরা। টানা তিন ওভারে টপ অর্ডারের তিন উইকেট হারিয়ে বসে। দারুণ শুরু পাওয়া ইংল্যান্ড দলের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন সাকিব। নবম ওভারের শেষ বলে আক্রমণাত্বক হওয়া ফিল সল্টকে কাভারে থাকা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের তালুবন্দি করেন। ৫৪ রানের উদ্বোধনী জুটি ভেঙে সল্ট ফিরেন ২৫ বলে ৭ বাউন্ডারিতে ৩৫ রান করে।
পরের ওভারেই সদ্য উইকেটে আসা ডেভিড মালানকে ফেরান এবাদত। ওভারের পঞ্চমে এবাদতের বলে সেই মাহমুদউল্লাহর হাতেই মিড অনে ক্যাচ তুলে দেন মালান, ফিরে যান ডাক মেরে। পরের ওভার, অর্থাৎ ১১তম ওভারের প্রথম বলেই জেসন রয়কে বোল্ডআউট করেন সাকিব। সাকিবের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হওয়ার আগে ৩৩ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ১৯ রান করেন আগের ম্যাচেই সেঞ্চুরি হাঁকানো জেসন।
এক রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়া ইংল্যান্ড দল এরপর ব্যাটিংয়ে দিয়েছে চমক। ব্যাটিং অর্ডারে উন্নতি করে স্যাম কারানকে পাঁচে নামিয়েছে ইংলিশরা। যার সুফলও পেয়েছে দলটি। ক্রমেই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছিল ইংল্যান্ডের চতুর্থ উইকেটে গড়া জেমস ভিন্স ও স্যাম কারানের জুটি। সেই জুটি ভাঙেন অবশেষে মিরাজ।
২৪তম ওভারের তৃতীয় বলে কারানকে ফেরান মিরাজ। মিরাজের স্পিন ফাঁদে পড়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অফে লিটন দাসের হাতে ক্যাচ তুলে দিতে বাধ্য হন এই বাঁহাতি। ফিরে যান ৪৯ বলে ১টি করে বাউন্ডারি ও ছয়ের মারে ২৩ রান করে। এরপর বাটলার ও ভিন্স মিলে ২৩ রানের জুটি গড়তেই সেটি ভেঙে দেন সাকিব।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/সা
Discussion about this post