ভুল শুধরে খেলায় ফিরুক বাংলাদেশ

0
90

মোহাম্মদ রফিক, অতিথি লেখক: প্রথম ওডিআইতে বেশ কয়েকটি ভুলই করেছে বাংলাদেশ। যার দরুণ হেরেছে ২১ রানে। আমি এটা আগের লেখাতেই বলে ছিলাম দীর্ঘ প্রায় ১০/১১ মাস আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে না থাকার প্রভাব পড়বে। সেটাই হয়েছে। বাজে ফিল্ডিং তারই প্রমাণ।

ইংল্যান্ডের সেঞ্চুরি করা বেন স্টোকসের ক্যাচ দু’বার ফেলেছে বাংলাদেশের ফিল্ডাররা, যেটা বাংলাদেশ হারার অন্যতম কারণ। ৩১০ রানের যে টার্গেট বাংলাদেশকে দিয়েছিলো ইংল্যান্ড, তা সম্ভব হয়ে ছিলো স্টোকসের সেঞ্চুরির কারণে। যদি তার ক্যাচ ফেলে না দিতেন ফিল্ডাররা, ম্যাচের ফলাফল অন্য রকমই হতে পারতো। টার্গেটটা থাকতো বাংলাদেশের হাতের নাগালে।

বাজে ফিল্ডিংয়ের সাথে বাজে ব্যাটিং হয়েছে। দায়িত্বশীল ব্যাটসম্যানরা দায়িত্ব নিতে পারেননি। মুশফিক অনেক দিন থেকেই রানে নেই। সাকিব ৭৯ রান করেছে। কিন্তুু ব্যক্তিগত ৫০ পার করার পর সাকিবের অতটা মারমুখী হওয়া আমার মনে হয় ঠিক হয়নি। কারণ  এসময়টাতে বাংলাদেশের সংগ্রহ ভালই ছিলো। রান আর বলের ব্যবধান তেমনটা ছিলো না। সাকিব সিঙ্গেল নিয়ে দেখে শুনে খেললেই বাংলাদেশ পেয়ে যেতো পারতো কাংখিত জয়।

মূলত সাকিব আউটের পরপরই ম্যাচ অর্ধেক বের হয়ে গিয়ে ছিলো বাংলাদেশের মুঠো থেকে। আর ইমরুল আউটের পর ম্যাচের পুরো নিয়ন্ত্রণ ছিলো ইংল্যান্ডের হাতে। সাকিব আরেকটু দায়িত্ব নিতে পারলেই বাংলাদেশ জিততে পারতো।

সাব্বির রহমানের আউটটা অপ্রত্যাশিত। একটা ম্যাচে এমনটা হতেই পারে। এটা মেনে নিতে হবে। মুশফিক, মাহমুদুল্লাহ নিজেদের দায়িত্ব পালন করতে পারেনি। সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে মোসাদ্দেক। নবাগত প্লেয়ার হলেও ব্যাটিংয়ে নামার পর এসব থাকে না। সাকিবের পর যখন মোসাদ্দেক উইকেটে গেলো তাকে তখন আরো দায়িত্ববান হওয়া উচিত ছিলো। সাকিবের পর একমাত্র স্বীকৃত ব্যাটসম্যান মোসাদ্দেকই ছিলো।

বাংলাদেশের শেষের দিকের ব্যাটসম্যান, অর্থাৎ লোয়ার অর্ডারের ব্যাটসম্যান আছে বলে মনে হয় না। এটা দেখে অবাকই হতে হলো। বলের নিশানা খুঁজে পাচ্ছিলো না শেষ দিকের ব্যাটসম্যানরা। আন্তর্জাতিক একটা ম্যাচে এমনটা হওয়া উচিত নয়। আমরা বিশ্বের অন্যান্য দলগুলোর দিকে থাকালে দেখবো তাদের বোলাররা অর্থাৎ শেষ দিকের ব্যাটসম্যানরা এমন ক্লোজ ম্যাচে জয় নিশ্চিত করে। এখানে আমাদের শেষ দিকের ব্যাটসম্যানরা পুরো ব্যর্থ হয়েছে।

তবুও আশা করবো আজ এসব ভুল-ভ্রান্তি শুধরে বাংলাদেশ সিরিজে ফিরবে। ঘরের মাঠে টানা সিরিজ জয়ের চলমান যাত্রা অব্যাহতই রাখবে মাশরাফিরা, এই প্রত্যাশা থাকলো।

লেখক: জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here