স্পোটস ডেস্ক: প্রথম দিনের মত দ্বিতীয় দিনেও ঘটলো আউট নট আউট নাটক। প্রথম দিন, সাকিব, মঈন আলী আর মেহেদী হাসানদের সাথে একই ঘটনা ঘটলো দ্বিতিয় তাইজুল ও আদিল রশিদের কাছে।
প্রথম দিন সাকিবের বলে মঈন আলীকে তিনবার আউট দেন ধর্মসেনা। প্রতিবারই রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান মঈন। আর দ্বিতীয় দিন তাইজুলের বলে আদির রশিদকে আউট দেন ধর্মসেনা। রশিদ রিভিউ নিয় জীবন পান। এনিয়ে এই টেস্টে চারটি সিদ্ধান্ত ভূল করলেন ধর্মসেনা।
এটা নিয়ে চরম বিরক্ত, হতাশ তিনি। যেটা মাঠেই দেখা গেছে রশিদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের সময়। ধর্মসেনাকে চিন্তিত থাকতে হচ্ছে মাঠে। কারণ এজন্য আইসিসির কাছে তাকে জবাবদিহীতা করতে হবে। কাটা যেতে পারে পয়েন্ট।
শ্রীলংকান এই অভিজ্ঞ আম্পায়ার বাংলাদেশ-ইংল্যান্ডের মধ্যকার চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিনে সাকিব আল হাসানের এলবিডব্লিউর আবেদনে সারা দিয়ে মঈণ আলীকে তিনবার আউট ঘোষণা দেয়া আম্পায়ার ছিলেন এই লঙ্কানই। কিন্তুু প্রতিবারই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হয়।
দ্বিতীয় দিন আবারো প্রথম দিনের ঘটনা ঘটে। আগেরদিন ছিলো মঈন আলী বনাম ধর্মসেনা। আর শুক্রবার আদিল রশিদ বনাম ধর্মসেনা। তাইজুলের একটি এলবিডব্লিউর আবেদনে সাড়া দিয়ে ইংলিশ স্পিনারকে আউট ঘোষণা করেন ধর্মসেনা। কিন্তু রিভিউ নেন রশিদ। রিভিউ নিয়ে মঈন আলীর মতো বেঁচে যান রশিদও।
এমন সিদ্ধান্তের পর মাঠের খেলোয়াড়দের মতো হতাশা প্রকাশ করতে দেখা গেলো শ্রীলঙ্কার হয়ে ৩১ টেস্ট ও ১৪১ ওয়ানডে খেলা সাবেক এই ডানহাতি অলরাউন্ডারকে।
আদিল রশিদ রিভিউ নিয়ে বেঁচে যাওয়ার পর হতাশ হয়ে মাথা নাড়াচ্ছিলেন ধর্মসেনা। এমন চারটি ভুল সিদ্ধান্ত দেয়ার ফলটা ভালোভোবেই বুঝতে পারছেন ধর্মসেনা। সব মিলিয়ে আম্পায়ারিং ক্যারিয়ারে এটা তার জন্য হয়তো বাজে সিরিজই হয়ে থাকবে।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/প্রি/০০