মাত্র ১১ ওভারেই ভারতকে উড়িয়ে দিয়ে সিরিজে সমতায় ফিরলো অস্ট্রেলিয়া

0
54

স্পোর্টস ডেস্কঃ ওয়ানডে ম্যাচ, দুই ইনিংস ৫০-৫০ মিলিয়ে ১০০ ওভারের খেলা। কিন্তু সেখানে খেলা হলো মাত্র ৩৭ ওভার। এক ইনিংসেরও অনেক কম। অথচ ম্যাচ ছিল ভারত-অস্ট্রেলিয়ার মতো হাইভোল্টেজ দলের। কিন্তু এদিন একচেটিয়ে দাপট অজিদের। ওয়ানডে ম্যাচকে টি-টোয়েন্টি বানিয়ে জিতলো দলটি।

দুর্দান্ত বোলিংয়ের পর ব্যাট হাতেও ভারতকে পাত্তা দেয়নি অস্ট্রেলিয়া। ফলাফল ৩৯ ওভার বা ২৩৪ বল বাকি থাকতেই ১০ উইকেটের বিশাল জয় সফরকারীদের। সিরিজেও ১-১ সমতায় ফিরলো স্টিভেন স্মিথের দল। ভারতকে রীতিমতো ধসিয়ে দিয়ে লজ্জার হারের তিক্ততা দিয়েছে অজিরা।

বিশাখাপত্তমে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ভারতের দেওয়া ১১৮ রানের মাঝারি লক্ষ্যকে তোয়াক্কাই করেনি অস্ট্রেলিয়া। ইনিংসের শুরু থেকে দুই ওপেনার ট্রেভিস হেড ও মিচেল মার্শের আক্রমণাত্বক ব্যাটিং। ভারতীয় বোলারদের বেড়ধক পিটিয়ে মাত্র ১১ ওভারেই দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছান এই দুই ব্যাটার। উদ্বোধনী জুটিতেই জিতে যায় অস্ট্রেলিয়া।

প্রতিপক্ষকে ন্যুনতম সুযোগ দেননি হেড ও মার্শ। বাউন্ডারি আর ওভার বাউন্ডারিতে বলকে বানান রীতিমতো হাতের পুতুল। এর মধ্যে ৩৬ সমান ৬টি করে চার ও ছয়ের মারে ৬৬ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন মার্শ। আর হেড ৩০ বলে ১০ বাউন্ডারিতে ৫১ রান করে অপরাজিত থাকেন। দুজনে মিলেন ২২ চার-ছক্কায় দ্রুতই দলের জয় নিশ্চিত করেন।

ভারতের হয়ে এই ১১ ওভারে পাঁচ বোলার হাত ঘুরালেও উইকেটের দেখা পাননি।

এর আগে রোহিত শর্মার একাদশে ফেরার দিনে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ২৬ ওভারে মাত্র ১১৭ রানে অলআউট হয় ভারত। অজিদের বিপক্ষে ঘরের মাঠে এটিই ভারতের সবর্নিম্ন সংগ্রহ এখন। এছাড়া সব মিলিয়ে ঘরের মাঠে চতুর্থ সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড।

দলীয় ৩ রানের মাথায় শুভমান গিলের ডাক মেরে শুরু। দ্বিতীয় উইকেটে অধিনায়ক রোহিতের সাথে ২৯ রানের জুটি বিরাট কোহলির। স্টার্কের বলে এই জুটি ভেঙে রোহিত ফিরতেই বিধ্বস্ত হওয়া শুরু। এরপর একে একে বাকিরা কেবল আসা-যাওয়ার মিছিল করতে থাকেন। আর এতেই কোনোমতে দলীয় রান একশ পার করেই অলআউট ভারত।

দলের পক্ষে ৩৫ বলে ৪ বাউন্ডারিতে সর্বোচ্চ ৩১ রান করেন কোহলি। ২৯ বলে ১ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৯ রান করে অপরাজিত থাকেন অক্ষর প্যাটেল। এর বাইরে বলার মতো রান করতে পারেননি আর কেউই।

অস্ট্রেলিয়ার হয়ে একাই ৫ উইকেট শিকার করেন মিচেল স্টার্ক। ৮ ওভার বল করে ১ মেইডেনসহ ৫৩ রান খরচ করেন তিনি। ক্যারিয়ারে নবমবারের মতো ওয়ানডেতে ৫ উইকেটের দেখা পান। যা কিনা যৌথভাবে স্বদেশী ব্রেট লি ও পাকিস্তানের শহীদ আফ্রিদির সমান তৃতীয় সর্বোচ্চ। তবে তাদের থেকে অনেক ইনিংস কম খেলেছেন স্টার্ক। মাত্র ১০৯ ইনিংস খেলে এমন কীর্তি গড়েছেন তিনি। স্টার্কের ৫ উইকেট ছাড়াও ৩ উইকেট নিয়েছেন শন অ্যাবট। নাথান এলিস পকেটে পুড়েছেন ২টি উইকেট। যার মধ্যে একটি আবার বিরাট কোহলির গুরুত্বপূর্ণ উইকেট।

এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/সা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here