নিজস্ব প্রতিবেদকঃ থাইল্যান্ডকে উড়িয়ে আসর শুরু করেছিল বাংলাদেশ। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে হেরে ব্যাকফুটে চলে যায় টাইগ্রেসরা। এক ম্যাচ পরই এবার জয়ে ফিরলো নিগার সুলতানা জ্যোতির দল।
মালয়েশিয়াকে ৮৮ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলাদেশ দল। ব্যাটে-বলে স্বাগতিকদের সামনে পাত্তায়ই পায়নি মালয়েশিয়ার মেয়েরা। বাংলাদেশের দেওয়া ১৩০ লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে মালয়েশিয়া অলআউট হয়ে পড়ে মাত্র ৪১ রানে। দলীয় রানের কোটা পঞ্চাশও পার করতে পারেনি দলটি।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের দেওয়া ১৩০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ধীর গতিতে ইনিংস শুরু করে মালয়েশিয়া। ষষ্ঠ ওভারের তৃতীয় বলে দলীয় ১৩ রানের মাথায় নিজেদের প্রথম উইকেট হারায় তারা। এরপর থেকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে মালয়েশিয়া।
বাংলার মেয়েদের বোলিং তোপের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি দলটি। শেষ পর্যন্ত গুঁটিয়ে যায় মাত্র ৪১ রানে। দলের পক্ষে কেউই ব্যক্তিগত রানের খাতা সিঙ্গেল ডিজিট থেকে বের হতে পারেননি। সর্বোচ্চ ২২ বল খেলে ৯ রান এসেছে এলসা হান্টারের ব্যাট থেকে।
বাংলাদেশের হয়ে ফারিহা তৃষ্ণা দেখা পেয়েছেন হ্যাটট্রিকের। নিজের অভিষেক ম্যাচেই এই হ্যাটট্রিক করেছেন তিনি। বাংলাদেশের হয়ে নারীদের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এর আগে কখনোই অভিষেকে হ্যাটট্রিক করতে পারেননি। যার ফলে নতুন করে গড়েছেন ইতিহাস। নিজের করা ৪ ওভারে ১২ রান খরচায় ৩ উইকেট শিকার করেছেন তৃষ্ণা।
এছাড়া ফাহিমা খাতুন, সানজিদা আক্তার মেঘলা ও রুমানা আহমেদ ২টি করে উইকেট শিকার করেছেন। এর মধ্যে রুমানা ৩ বলের ব্যবধানে ২ উইকেট নিয়েছেন। এসবের বাইরে সালমা খাতুন শিকার করেছেন ১ উইকেট।
এর আগে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে মালয়েশিয়ার বিপক্ষে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১২৯ রানের লড়াকু পুঁজি পায় টাইগ্রেসরা। শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। ধীর গতির শুরুর সাথে টপ অর্ডারের দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে স্বাগতিকরা।
ইনিংসের প্রথম ওভারের প্রথম বলেই এলবিডব্লিউর শিকার হয়ে ফিরে যান শামীমা সুলতানা। নামের পাশে গোল্ডেন ডাক নিয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন এই ওপেনার। পরবর্তীতে ৮.২ ওভারে দলীয় ৩৪ রানের মাথায় স্টাম্পিংয়ের শিকার হয়ে ফেরেন ২৪ বল খেলে ১০ রান করা টপ অর্ডার ব্যাটার ফারজানা হক পিংকি।
পাওয়ার প্লে’র ৬ ওভারে বাংলাদেশ ১ উইকেট হারিয়ে মাত্র ২০ রান তুলতে পারে বাংলাদেশ। তৃতীয় উইকেটে বাংলাদেশের হাল ধরেন জ্যোতি ও মুর্শিদা। দুজনে মিলে গড়ে তুলেন ৮৭ রানের দারুণ এক জুটি। আর সেই জুটিতে ভর করেই বাংলাদেশ লড়াই করার মতো পুঁজি পায়।
দ্রুত রান তুলতে গিয়ে জ্যোতি ফিরলে ভাঙে সেই জুটি। তবে এর আগে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ক্যারিয়ারে নিজের তৃতীয় ফিফটি তুলে নেন জ্যোতি। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৩৪ বলে ৬ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় খেলেন ৫৩ রানের ঝলমলে ইনিংস।
এক প্রান্ত আগলে ধরে খেলতে থাকা মুর্শিদা ফেরেন ইনিংসের শেষ ওভারে। ক্যারিয়ারের তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ফিফটি হাঁকিয়ে এই ওপেনার খেলে যান ৫৪ বলে ৬ বাউন্ডারিতে ৫৬ রানের ইনিংস। শেষ পর্যন্ত ১২৯ রানে গিয়ে থামে বাংলাদেশের ইনিংস।
মালয়েশিয়ার হয়ে ম্যাচে ৪ ওভারে ১ মেইডেনসহ ১৫ রান খরচায় ১ উইকেট নেন শাশা আজমি। এছাড়া ১টি করে উইকেট লাভ করেন মাহিরাহ ইসমাইল ও দুরাইসিংহাম।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/সা