নিজস্ব প্রতিবেক:: ঘড়ির কাটায় বিকেল ৫টা বাঁজতেই শহরের রিক্সা চালক, গরীব-অসহায় মানুষের পথ মিশতে থাকে সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে। দ্বিতীয় রমজান থেকে শুরু হয়েছে তাদের এই মিলন মেলা। নগরের অসহায়, দরিদ্র মানুষেরা এক সাথে বসেন, চাইনিজ রেষ্টুরেন্টের বিলাস বহুল খাবার দিয়ে সারেন ইফতার।
সিয়াম, সাধনা আর আত্মশুদ্ধির মাস পবিত্র রমজানে ক্রীড়া সংগঠক, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারন সম্পাদক, সমাজসেবী মাহি উদ্দীন আহমদ সেলিম নিয়েছেন ব্যতিক্রমী এ উদ্যোগ। তার ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রতিদিন ইফতার করানো হচ্ছে ৫ শতাধিকেরও বেশি মানুষকে জেলা স্টেডিয়ামের মোহাম্মদ আলী জিমনেসিয়ামে।
সারা দিন রোজা রেখে বিলাস বহুল চাইনিজ খাবারে ইফতার সেরে দুহাত তুলে সৃষ্টার দরবারে শোকরিয়া জ্ঞাপন করছেন নগরের এসব অসহায় মানুষেরা। ইফতারিতে তাদের আদর, আপ্যায়ন আর খাতির যত্মের কোনো কমতি রাখছেন না ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারিরা।
প্রতিদিনের ইফারিতে থাকছে মিনারেল ওয়াটার, মোরগের আখনি, চিকেন রোস্ট, ছানা, পিয়াজু, জিলাপী, খেজুর। নগরের একটি নামিদামি চাইনিজ রেষ্টুরেন্ট থেকে প্রতিদিন বিকেলে এসব ইফতার সামগ্রী যায় সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে।
খবর যতো ছড়িয়ে পড়ছে, প্রতিদিনই অসহায়, গরীব নিম্ন বিত্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে এই ইফতার আয়োজনে। ইফতারিতে গিয়ে কাউকে নিরাশ হয়ে ফিরতে হয় না। সবাই এক কাতারে বসে প্রভুকে সন্তুুষ্টি করে সারা দিনের অভুক্তি নিবারণ করেন।
জেলা ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাফুফের নির্বাহী কমিটির সদস্য, সিলেটের ক্রীড়া সংগঠক মাহি উদ্দিন সেলিমের এই আয়োজনে মহাখুশি নগরের গরীব মানুষেরা। পুরো রমজান মাস চলবে এই আয়োজন।
(গেপ হবে ৩/৪ সেকেন্ড)
সিলেটের এই ক্রীড়া সংগঠক করোনাকালে এমন মহানুভবতার পরিচয় দিয়েছেন।গরীব-অসহায় মানুষের পাশে সব সময়ই থাকেন তিনি। এবার রমজানেও তার ব্যকিক্রম হলো না।
Discussion about this post