স্পোর্টস ডেস্ক: মেহেদী হাসান মিরাজ একজন অলরাউন্ডার। ব্যাটে-বলে সেরা পারফর্ম করে অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে সেরা খেলোয়াড় হয়ে ছিলেন। এই অলরাউন্ডার জাতীয় দলে প্রবেশের পর হয়ে গেছেন শুধু বোলার।
জাতীয় দলে প্রবেশের পর থেকে আর ব্যাটিংয়েরই সুযোগ পাচ্ছেন না। অথচ এই মিরাজের ব্যাটেই প্রথম বারের যুব বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলে ছিলো বাংলাদেশ দল। কোয়ার্টার ফাইনালে নেপাল বাঁধা টপকে ছিলো মিরাজের ব্যাটেই।
জাতীয় দলে এসে টিম কম্বিনেশনের কারণে তাকে ব্যাট করতে হচ্ছে ৯ নম্বরে। বিপিএলে দেখা গেছে ১০ নম্বরে নামতে।
এত নিচের ব্যাট করার ‘রহস্য’ এবার নিজেই জানালেন মিরাজ। কোচ-নির্বাচকদের নিষেধেই মিরাজ ব্যাটিংয়ে মনোযোগী হচ্ছেন না।
দলকে সেরা সার্ভিস দিতে মিরাজকে আপাতত কেবল বোলিংয়েই মনোনিবেশ করতে বলেছেন কোচ-নির্বাচকরা। মিরাজের কাছ থেকে বোলিংয়ের শতভাগ নেয়ার পরামর্শ কোচদের।
জাতীয় দলের হয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেক টেস্ট সিরিজে ১৯ উইকেট নেয়া মিরাজ বিপিএলেও বোলিং নৈপুন্য দেখিয়ে যাচ্ছেন। শুক্রবার (১১ নভেম্বর) মিরপুরে ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে নিয়েছেন দুটি উইকেট। সাজঘরে পাঠিয়েছেন কুমার সাঙ্গাকারা ও সাকিব আল হাসানকে।
ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে নিজের ব্যাটিং নিয়ে ভাবনার কথা খুলে বলেন মিরাজ, ‘আমার হাতে অনেক সময় আছে। আমার সাথে কোচ কথা বলছেন, ন্যাশানাল টিমের কোচ কথা বলছেন, বাংলাদেশের যারা ক্রিকেট বোদ্ধা-নির্বাচকরা, আমার ছোটবেলার কোচ কথা বলেছেন। সবাই একটা কথা বলেছেন আমার সামনে অনেক সময় আছে। এখন যেন ব্যাটিং নিয়ে বেশি চিন্তা না করি।
মিরাজ বলেন, ‘দুটো নিয়ে ভাবলে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। তখন হয়তো বোলিংটা ভালো করতে পারবো না। তারা সবসময় বলেন বোলিংটা খুব ভালো হচ্ছে, এটাই কন্টিনিউ করো। পাশাপাশি ব্যাটিং স্কিলটা বাড়ানোর জন্য। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অনেক কঠিন। নিজেকে আরও তৈরি করতে হবে।’-যোগ করেন মিরাজ।
নিচের দিকে নেমেও আফসোস নেই মিরাজের, ‘জাতীয় দলে যখন খেলি ব্যাটিং অর্ডার উপরের দিকে আসে না। কারণ আমার আগে অভিজ্ঞরা আছেন। বিপিএলে হার্ডহিটার যারা স্টোকস বেশি খেলে তাদের গুরুত্বটা বেশি। দেশি-বিদেশি প্লেয়ার আছে। আমার জায়গাটায় আমাকে দিয়েছে। ম্যাচের অবস্থার কারণে হয়তো একটু নিচে নেমেছি। ওখান থেকে ডেভেলপ করতে হবে ভালো করতে হবে।’
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/বা/০০