স্পোর্টস ডেস্ক: খুলনার ছেলে মেহেদী হাসান মিরাজ। বাংলাদেশের বৃটিশ বধের নায়ক। মিরাজের ঘুর্ণি জাদুতেই ক্রিকেটের জনকদের হারিয়ে ১০৮ রানের ঐতিহাসিক জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ।
খুলনা শহরের খালিশপুরের হাউজিং স্টেটের বিআইডিসি রোডের নর্থ জোন বি বল্কের ৭ নং প্লটের মিরাজদের টিনের ছাউনি আর বাঁশের বেড়ার ভাড়া ঘরটি যেনো আনন্দের বাগান হয়ে গেছে। মিষ্টি নিয়ে ছুটছে মানুষ, শুভেচ্ছা জানাচ্ছে মিরাজের বাবা-মামাকে। গাড়ী চালক জালাল হোসেন, মা মিনারা বেগম আর একমাত্র বোন রুমানা আক্তার মিম্মাদের পরিবারে আনন্দের বন্যা ছুটছে।
নিজের সহায়-সম্বলহীন মিরাজরা খুলনা শহরের এমন সাধারণ একটি বাসাতেই ভাড়া থাকেন। একটু বৃষ্টি হলেই ভাড়া বাসার সামনে পানি জমে থাকে। কাদায় একাকার হয়ে যায় চারিদিক।
ঘরে বসতে দেওয়ার মতো জায়গা নেই তাই রাস্তায় চেয়ার দিয়ে সবার বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। গত দিন মুষলধারে বৃষ্টি হওয়ায় মিরাজের বাড়ির উঠানে এখনও পানি-কাদা হয়ে আছে। এমন অবস্থায় শুভেচ্ছা আর ভালোবাসা জানাতে আসা মানুষজনকে বাড়িতে প্রবেশ না করার জন্যই অনুরাধ করেছেন মিরাজের বাবা। বাড়ির সামনের রাস্তায় চেয়ার দিয়ে লোক জনকে বসার ব্যবস্থা করেছেন তিনি।
এই বাসা থেকেই মিরাজের মিরাজ হয়ে, বাংলাদেশের ইংল্যান্ড জয়ের নায়ক হয়ে উঠে। তাই মিরাজকে এখন আনন্দ আর গর্বের শেষ নেই পাড়া-প্রতিবেশীদের।
মিরাজের বাবা গাড়ী চালক বাবা জালাল হোসেন কোনমতেই সংসার চালাতেন। এমন অভাব-অনটনের সংসারে মিরাজের ব্যয়বহুল ক্রিকেট সামগ্রী কিনে দেবার সামর্থ্য হত না বাবার।
তবুও দমে যাননি মিরাজ। চালিয়ে গেছেন ক্রিকেট। কষ্টের ফল পেলেন খুব দ্রুতই। যুব বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, হয়েছেন টুর্ণামেন্ট সেরা খেলোয়াড়, এবার হলেন বড় দলের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট জয়ের নায়ক।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/বা/০০