নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আগের দিনই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল হার। পঞ্চম দিনটা কেবল বাকি ছিল আনুষ্ঠানিকতার। চট্টগ্রাম টেস্টে তবুও এদিন সকালের সেশনে এক ঘন্টার উপরে ব্যাট করেছে বাংলাদেশ। মেহেদী হাসান মিরাজ এক প্রান্ত আগলে রেখে লড়াই চালিয়ে গেছেন। তবে তার ৮১ রানের অপরাজিত ইনিংস কেবল হারের ব্যবধানটা কমিয়েছে। সাগরিকায় ১৯২ রানের বড় হার দেখেছে টাইগাররা।
আর এতে ২-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ নিজেদের করে নিল লঙ্কানরা। স্বাগতিকদের হোয়াইটওয়াশের তিক্ততা দিয়ে ট্রফি নিয়ে নিজ দেশে ফিরে যাচ্ছেন সফরকারীরা। ম্যাচ সেরা ও সিরিজ সেরা দুটোই হয়েছেন লঙ্কান অলরাউন্ডার কামিন্দু মেন্ডিস।
৫১১ রানের বিশাল লক্ষ্যে খেলতে নেমে মঙ্গলবার চতুর্থ দিনে ৭ উইকেটে ২৬৮ রান নিয়ে পার করে বাংলাদেশ। ৪৪ রানে অপরাজিত থাকা মেহেদী হাসান মিরাজ ও ১০ রানে অপরাজিত থাকা তাইজুল ইসলাম আবারও ব্যাট করতে নামেন পঞ্চম দিনে। তবে ২৮১ রানের মাথায় অষ্টম উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। ১৪ রান করা তাইজুল ফিরলে ভাঙে তার সাথে মিরাজের ৩৮ রানের জুটি। এরপর হাসান মাহমুদের সাথে ৩১ রানের জুটি গড়ে দলের রান তিনশ পার করেন মিরাজ।
৬ রান করে হাসান ফিরলে, উইকেটে আসেন খালেদ। তবে বেশি সময় সঙ্গ দিতে পারেননি তিনি মিরাজকে। যার ফলে ৮৫ ওভারে ৩১৮ রানেই গুঁটিয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। ফিফটি হাঁকিয়ে এক প্রান্ত আগলে রাখা মিরাজ অপরাজিত থাকেন ১১০ বলে ১৪ বাউন্ডারিতে ৮১ রান করে। এর আগে মুমিনুল হক ৫০, লিটন দাস ৩৮ ও সাকিব আল হাসান ৩৬ রান করেন।
শ্রীলঙ্কার হয়ে ৪টি উইকেট শিকার করেন লাহিরু কুমারা। কামিন্দু মেন্ডিস লাভ করেন ৩ উইকেট।
এর আগে প্রথম ইনিংসে ৫৩১ রানে অলআউট হয় শ্রীলঙ্কা। জবাবে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ১৭৮ রানেই গুঁটিয়ে যায় বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের ফলো অনে ফেলে আবারও ব্যাট করতে না পাঠিয়ে ৩৫৩ রানের লিড নিয়ে নিজেরা দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে লঙ্কানরা। তবে ৭ উইকেটে ১৫৭ রানেই নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে সফরকারীরা। যার ফলে ম্যাচের চতুর্থ আর বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৫১১।
Discussion about this post