স্পোর্টস ডেস্কঃ বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে চুপসে গেল চোকার্স খ্যাত দক্ষিণ আফ্রিকা। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে কলকাতার ইডেন গার্ডেনে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৪৯.৪ ওভারে অলআউট হয়েছে মাত্র ২১২ রানে। ফাইনালে যেতে অস্ট্রেলিয়াকে করতে হবে ২১৩ রান।
দক্ষিণ আফ্রিকার ২১২ রানের মধ্যে ডেভিড মিলার একাই করেন ১০১ রান। ১১৬ বল খেলে ৮টি চার ও ৫ ছক্কায় এই রান করেন তিনি। বৃহস্পতিবার টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ৪৭ রান এসেছে হেনরিখ ক্লাসেনের ব্যাট থেকে। অজিদের হয়ে ৩টি করে উইকেট শিকার করেছেন প্যাট কামিন্স ও মিচেল স্টার্ক।
টস জিতে আজ ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। ইনিংসের প্রথম ওভার থেকেই উইকেট হারানো শুরু করে প্রোটিয়ারা। ওভারের শেষ বলে মিচেল স্টার্ককে খোঁচা দিতে চান বাভুমা। এজ হওয়া বল ডাইভ দিয়ে তালুবন্দী করেন অস্ট্রেলিয়ার উইকেটরক্ষক জশ ইংলিশ। ৪ বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি বাভুমা।
দক্ষিণ আফ্রিকা ১ রানে ১ উইকেট হারানোর পর ব্যাটিংয়ে আসেন রাসি ফন ডার ডুসেন। তাঁকে নিয়ে ওপেনার কুইন্টন ডি কক বেশ সাবধানী ব্যাটিং করতে থাকেন। তবে রান বাড়ানোর চাপে বিপদ ডেকে আনেন ডি কক।বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ধরা পড়েন কামিন্সের হাতে। নিজের শেষ বিশ্বকাপ খেলতে নামা ডি কক সেমিফাইনালে করলেন মাত্র ৩ রান। যদিও পুরো টুর্নামেন্ট জুড়েই দুর্দান্ত ছন্দে ছিলেন তিনি।
এইডেন মার্করামও টিকতে পারলেন না বেশিক্ষণ। স্টার্কের বলে সোজা ব্যাটে ড্রাইভ করতে গিয়ে আউট সাইড এজ হয়ে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ওয়ার্নারের হাতে ধরা পড়েছেন ১০ রান করা এই ব্যাটার। লম্বা সময় টিকে থাকলেও শেষ পর্যন্ত দলের বিপদ বাড়িয়ে ফিরে গেছেন ডুসেনও। তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ৩১ বলে ৬ রান। অজিদের আগুনে বোলিংয়ে মাত্র ২৪ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর দক্ষিণ আফ্রিকাকে টেনে তোলার চেষ্টা করতে থাকেন মিলার ও হেনরিখ ক্লাসেন।
রয়েসয়ে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করছিলেন তারা দুজন। দেখেশুনে খেললেও দুই-এক ওভার পরপর বাউন্ডারি মেরে রানের চাকা সচল রাখার চেষ্টা করছিলেন মিলার ও ক্লাসেন। তবে বলের লাইন মিস করে বোল্ড হয়ে ফিরে যেতে হয় ৪৭ রানের ইনিংস খেলা ক্লাসেনকে। পরের বলে আউট হয়েছেন একাদশে ফেরা মার্ক জানসেনও।তাদের দুজনকে দ্রুত হারানোর পর ৭০ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন মিলার। এরপর কোয়েতজেকে সঙ্গে নিয়ে জুটি গড়েন তিনি। তারা দুজনে মিলে যোগ করেন ৫৩ রান। কোয়েতজের বিদায়ে ভাঙে তাদের এই জুটি।
কোয়েতজে ১৯ রান করেন। দ্রুত ফিরেছেন মহারাজও। দলকে একাই টেনে নিয়ে এসে শেষ পর্যন্ত সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন মিলার। কামিন্সের শর্ট লেংথ ডেলিভারিতে পুল করে ছক্কা মেরে ১১৫ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। সেঞ্চুরির পাওয়ার পরের বলেও একই শট খেলেছিলেন তিনি। তবে এবার আর বাউন্ডারি ছাড়া করতে পারেননি মিলার। ধরা পড়তে হয়েছে হেডের হাতে। শেষ দিকে রাবাদা ১০ রান করলে দক্ষিণ আফ্রিকা ২১২ রানের পুঁজি পায়।