স্পোর্টস ডেস্কঃ ফুটবল বিশ্বের অন্যতম বড় দল প্যারিস সেইন্ট জার্মেইন (পিএসজি)। ইউরোপের ফুটবলে সাফল্য পেতে দলটি কাড়ি কাড়ি টাকা ঢালছে। কাতার স্পোর্টস ইনভেস্টমেন্টের (কিউএসআই) মালিকাধীন ক্লাবটির অর্থের উৎস আসে কাতার সরকার থেকেই। তেলের খনিতে ভরপুর মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি ক্লাবের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে অঢেল টাকা ঢালছে।
পিএসজির দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ক্লাবটিকে আর্থিকভাবে বিশ্বের অন্যতম সেরা করেছিল কিউএসআই। তবে সবশেষ মৌসুমে সবাইকে ছাড়িয়ে গিয়েছিল প্যারিসিয়ানরা। খেলোয়াড়দের বেতন দেওয়ার তালিকায় পিএসজির ধারেকাছেও ছিল না কেউ।
সবশেষ ২০২১-২২ মৌসুমে খেলোয়াড়দের ৭২ কোটি ৯০ লাখ ইউরো, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বেতন দিয়েছে পিএসজি। ফ্রান্সের ক্লাবগুলোর আর্থিক লেনদেন তদারকি করা দেশটির সরকারি সংস্থা ডিএনসিজি বরাত দিয়ে এমন তথ্য প্রকাশ করেছে ইতালির গণমাধ্যম গাজেত্তা দেলো স্পোর্ত।
বলার অপেক্ষা রাখে না লিওনেল মেসি, নেইমার জুনিয়র, কিলিয়ান এমবাপেদের মতো ফুটবল বিশ্বের তিন সেরা তারকার পাশাপাশি সার্জিও রামোস, আশরাফ হাকিমি, মার্কুইনোস, জিয়ানলুইজি দোনারোম্মার মতো তারকাদের বিশাল অঙ্কের বেতন দিতে হয়। আর যার জন্যই অর্থের পরিমাণটা এতো বেশি।
এর আগের ২০২০-২১ মৌসুমেও ১০০ কোটি ইউরো অর্থাৎ, প্রায় ১২০০ কোটি টাকার বেশি কম বেতন দিয়েছিল পিএসজি। তবে পরের মৌসুমেই মেসি, রামোস ও দোনারোম্মাকে ভিড়িয়ে সেই অঙ্কটা বেড়ে গেছে অনেক।
খেলোয়াড়দের বছরে বেতন দেওয়ার ক্ষেত্রে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছে রিয়াল মাদ্রিদ। সব ২০২১-২২ মৌসুমে করিম বেনজেমা, ভিনিসিয়াস জুনিয়র, লুকা মদ্রিচ, থিবো কর্তোয়াদের ৫১ কোটি ৯০ লাখ ইউরো অর্থাৎ, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৬ হাজার ৫০ কোটি টাকা পারিশ্রমিক দিয়েছে।
তালিকার তিন নম্বরে আছে বার্সেলোনা। আর্থিক দৈন্যদশা থাকলেও, কাতালান ক্লাবটি মোটা অঙ্কের বেতন দিয়েছে রবার্ট লেভানডভস্কি, উসমান ডেম্বেলে, আনসু ফাতি, গাভি, পেদ্রো, স্টের স্টেগানদের। সব মিলিয়ে সেই অঙ্কটা ৪৫ কোটি ৭০ লাখ ইউরো অর্থাৎ, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৫ হাজার ৩২৭ কোটি টাকা।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/সা
Discussion about this post