স্পোর্টস ডেস্ক: বিপিএলের প্রথম দিনেই ব্যাটসম্যানদের ব্যাট কথা বলেছে। সব ইনিংসেই ব্যাটসম্যানরা রান করেছেন। প্রতিটি ইনিংসেই এসেছে অর্ধশতক। ঢাকা ডায়নাইমাটস বড় ব্যবধানে জিতেছে ব্যাটসম্যান মেহেদী মারুফের চমকে।
মেহেদী মারুফের ৪৫ বলে ৭৫ রানের হার না মানা ইনিংসের কারণে সাকিবের ঢাকা ডায়নাইমাটসের কাছে মুশফিকুর রহিমের বরিশাল বুলস হেরেছে ৮ উইকেটে।
টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ঢাকার দলপতি সাকিব আল হাসান। মুশফিকুর রহিমের বরিশাল বুলস ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রানের টার্গেট ছুঁড়ে দেয় সাকিব আল হাসানের ঢাকা ডায়নামাইটসকে। বরিশালের হয়ে অর্ধশতক হাঁকান দলপতি মুশফিক এবং শাহরিয়ার নাফিস। ২৪ বল বাকি থাকতেই জয় তুলে নেয় দুই উইকেট হারানো ঢাকা।
বরিশালের হয়ে ব্যাট হাতে ইনিংস শুরু করতে আসেন শামসুর রহমান এবং দিলশান মুনাবেরা। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় বরিশাল। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে মোহাম্মদ শহীদের লাফিয়ে উঠা বলের লাইন মিস করেন ওপেনার শামসুর রহমান। স্লিপে দাঁড়ানো মেহেদি মারুফের হাতে ধরা পড়ার আগে শামসুর রহমান করেন ১০ বলে ৬ রান। দলীয় ১০ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় বরিশাল।
ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে মুনাবেরাকে ফেরান ব্রাভো। পয়েন্টে নাসির হোসেনের দুর্দান্ত এক ক্যাচে বিদায় নেন ১২ রান করা মুনাবেরা। দলীয় ২৮ রানের মাথায় দ্বিতীয় উইকেটের পতন ঘটে বরিশালের। এরপর জুটি গড়ার চেষ্টা করেন মুশফিক এবং ডেভিড মালন। ইনিংসের অষ্টম ওভারে সাকিবের ঘূর্ণিতে ব্রাভোর হাতে সহজ ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ১৬ রান করা মালন। দলীয় ৪৪ রানের মাথায় বরিশালের তৃতীয় উইকেটের পতন ঘটে।
এরপর জুটি গড়ে দলের হাল ধরেন দলপতি মুশফি আর শাহরিয়ান নাফিস। ইনিংসের ১৭তম ওভারে বিদায় নেন শাহরিয়ার নাফিস। তার আগে উইকেটে থেকে ঢাকার বোলারদের শাসন করেন টাইগার এই ব্যাটসম্যান। দলীয় ৪৪ রানে তৃতীয় উইকেট হারানোর পর মুশফিক-নাফিস মিলে মাত্র ৫১ বলে যোগ করেন ৮২ রান। নাফিস অর্ধশতক হাঁকিয়ে বিদায় নেওয়ার আগে ৩৪ বলে ৭টি চার আর দুটি ছক্কায় করেন ৫৫ রান। মোহাম্মদ শহীদের বলে বোল্ড হন তিনি।
পরের ওভারে থিসারা পেরেরাকে ফেরান রবি বোপারা। ব্যক্তিগত ৩ রানে ফেরেন এই লঙ্কান ব্যাটসম্যান। ১৯তম ওভারে ফেরেন ১ রান করা রায়াদ এমরিত। মোহাম্মদ শহীদের তৃতীয় শিকারে নাসিরের তালুবন্দি হন এমরিত।
বরিশাল দলপতি মুশফিক ৩৬ বলে অপরাজিত ৫০ রান করতে ৪টি চার আর দুটি ছক্কা হাঁকান। ঢাকার হয়ে নয় বোলার হাত ঘুরান। ৪ ওভারে ২১ রান খরচায় সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন মোহাম্মদ শহীদ। একটি করে উইকেট পান সাকিব, ব্রাভো এবং বোপারা।
১৪৯ রানের টার্গেটে ঢাকার হয়ে ইনিংস শুরু করতে ব্যাট হাতে নামেন কুমার সাঙ্গাকারা এবং মেহেদি মারুফ। ইনিংসের নবম ওভারে তাইজুল ইসলামের দারুণ ঘূর্ণিতে পরাস্ত হয়ে এলবির ফাঁদে পড়েন লঙ্কান কিংবদন্তি কুমার সাঙ্গাকারা। বিদায়ের আগে ২৪ বলে ৫টি বাউন্ডারিতে ৩০ রান করেন তিনি। দলীয় ৮৮ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় ঢাকা।
এরপর বিদায় নেন সাকিব। ২৩ বলে ২০ রান করে মনির হোসেনের বলে বোল্ড হন ঢাকার দলপতি। দলীয় ১৩৬ রানের মাথায় বিদায় নেন সাকিব।
ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন মেহেদি। ৪৫ বল খেলে ৭৫ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন তিনি। তার ঝোড়ো ইনিংসে ছিল ৫টি বিশাল ছক্কা আর ৫টি চারের মার। ১৬ ওভার ব্যাট করে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ঢাকা।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/বা/০০