স্পোর্টস ডেস্কঃ প্রত্যাশা অনুযায়ী পারফর্ম করতে না পারলেও, লড়াকু সংগ্রহ পেয়েছে জিম্বাবুয়ে দল। হারারেতে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটের বিনিময়ে ১৩৫ রানের সংগ্রহ পেয়েছে স্বাগতিকরা।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশি স্পিনার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের তোপের মুখে পড়ে জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং লাইনআপ। মোসাদ্দেক একাই ৫ উইকেট নিয়ে ধসিয়ে দেন জিম্বাবুয়ের টপ অর্ডার। মাত্র ৩১ রানেই পাঁচ উইকেট হারিয়ে ফেলে দলটি। একে একে ফিরে যান রেগিস চাকাভা, ওয়েসলি মাধেভেরে, ক্রেইগ আরভিন, শন উইলিয়ামস ও মিল্টন শুম্বা। সবগুলো উইকেটই শিকার করেন মোসাদ্দেক।
তবে সেখান থেকে সিকান্দার রাজা ও রায়ান বার্লের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়িয়েছে স্বাগতিকরা। ষষ্ঠ উইকেটে ৮০ রানের জুটি গড়ে দলকে রক্ষা করেন তারা। বার্লের উইকেটের মধ্য দিয়ে ভাঙে সেই জুটি। হাসান মাহমুদের বলে বোল্ড আউট ফেরার আগে বার্ল করে যান ৩১ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ৩২ রান।
দ্রুতই ফিরে যান সিকান্দার রাজা। ৬২ রানের দারুণ ইনিংস খেলে দলকে লড়াকু সংগ্রহ এনে দেন রাজা। তার ৫৩ বলে ইনিংসটি সাজানো ছিল ৪ বাউন্ডারি ২ ছক্কায়। মুস্তাফিজুর রহমান শিকার করেন গুরুত্বপূর্ণ সেই উইকেট। এরপর লুক জঙ্গের ৫ বলে ১১ রানের অপরাজিত ইনিংসে লড়াই করার মতো সংগ্রহ পায় জিম্বাবুয়ে।
বাংলাদেশের হয়ে অফ-স্পিন অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক দেখা পেয়েছেন ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ফিগারের। চতুর্থ বাংলাদেশি হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে পাঁচ উইকেট নেন তিনি। নিজের চার ওভারের কোটা পূরণ করে মাত্র ২০ রান খরচায় একাই ৫ উইকেট শিকার করেছেন। ১৫টি ডট বল দিয়েছেন এর মধ্যে।
আর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে বাংলাদেশের হয়ে যৌথভাবে দ্বিতীয় সেরা বোলিং ফিগার এটি। উইন্ডিজের বিপক্ষে একই বোলিং ফিগার নিয়ে সাকিব আল হাসান ছিলেন এককভাবে এতদিন ছিলেন। এবার তার সাথে যোগ হলেন মোসাদ্দেক। আর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৪ ওভারে ১ মেইডেনসহ ১৩ রান খরচায় ৫ উইকেট নিয়ে শিকার করে ইলিয়াস সানী আছেন সবার ওপরে।
মোসাদ্দেক ছাড়া ১টি করে উইকেট লাভ করেন মুস্তাফিজুর রহমান ও দীর্ঘদিন পর একাদশে সু্যোগ পাওয়া হাসান মাহমুদ।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/সা