নিজস্ব প্রতিবেদকঃ তরুণ ব্যাটার আফিফ হোসেনের ব্যাটে ঢাকা ডমিনেটর্সকে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। সাগরিকায় ঢাকার দেওয়া ১৫৯ রানের লক্ষ্য ১৪ বল হাতে রেখেই টপকে যায় চট্টগ্রাম। ম্যাচ সেরা আফিফ খেলেন ৬৯ রানের দারুণ ইনিংস।
সাগরিকায় ঢাকার দেওয়া বড় লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারেই আল আমিন জুনিয়রের উইকেট হারায় চট্টলা শিবির। এরপর টপ অর্ডারে নামা আফিফ হোসেন ধ্রুবর সাথে ৫৫ রানের জুটি গড়েন আরেক ওপেনার উসমান খান। ২১ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ২২ রান করে উসমান ফিরলে ভাঙে সেই জুটি।
ম্যাচের পরের গল্পটা লেখেন আফিফ ও দারউইশ রাসুল। দুজনে মিলে তৃতীয় উইকেটে ১০৩ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন। ক্যারিয়ারের দেড়শতম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে নেমে ফিফটি হাঁকিয়ে আফিফ অপরাজিত থাকেন ৬৯ রানে। তার ৫২ বলের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৭ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায়। ফিফটি হাঁকান রাসুলিও। তিনি ৩৩ বলে ৩ বাউন্ডারি ও ৪ ছক্কায় ৫৬ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন।
ঢাকার হয়ে ৩.৪ ওভার বল করে ২৪ রান খরচায় ১ উইকেট শিকার করেন তাসকিন আহমেদ। ৪ ওভারে ২১ রান খরচ করে ১ উইকেট লাভ করেন আরাফাত সানীও।
জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৮ রানের পুঁজি পায় ঢাকা। উদ্বোধনী জুটি থেকেই আসে ৬০ রান। মিডল অর্ডারে সৌম্য-মিঠুনদের ব্যর্থতা খানিকটা দুশ্চিন্তা ছড়ালেও, শেষ দিকে অধিনায়ক নাসির হোসেন ও আরিফুল হকের ব্যাটে লড়াইয়ের জন্য বেশ ভালো পুঁজি পায় ঢাকা।
দলের পক্ষে ৩৩ বলে সর্বোচ্চ ৪৭ রানের ইনিংস খেলেন উসমান গণি। দুই বাউন্ডারি ও চার ওভার বাউন্ডারিতে সাজানো তার ইনিংস। ২২ বলে চার বাউন্ডারিতে ৩০ রান করেন নাসির। ১৮ বলে দুই বাউন্ডারি ও এক ওভার বাউন্ডারিতে ২৯ রান করেন আরিফুল।
চট্টগ্রামের হয়ে মেহেদী হাসান রানা ও নিহাদউজ্জামান ২টি করে উইকেট লাভ করেন। মালিন্দা পুষ্পকুমারা ও অধিনায়ক শুভাগত হোম শিকার করেন ১টি উইকেট।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/সা/০০
Discussion about this post