স্পোর্টস ডেস্ক:: অল্পের জন্য সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রত্যাশিত জয়টি পায়নি বাংলাদেশ। নিশ্চিত হয়নি সুপার এইটও। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে নিউইর্য়কে জিতলেই সুপার এইট নিশ্চিত হয়ে যেতো টাইগারদের।
ম্যাচটি হারের পর পরপরই আম্পায়ারের কয়েকটি সিদ্ধান্ত নিয়ে বেশ সমালোচনা শুরু হয়েছে। অনফিল্ড দুই আম্পায়ার বেশ কিছু সিদ্ধান্ত দিয়েছেন বাংলাদেশের বিপক্ষে। তাওহীদ হৃদয়ের এলবিডাব্লিউ’ও ছিলো ‘বিতর্কিত’ সিদ্ধান্ত। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকেও ভুল আউট দেন আম্পায়ার। রিভিউ নিয়ে তিনি বেঁচে গেলেও ওই বল থেকে পাওয়া লেগবাই চার রান আর পায়নি বাংলাদেশ।
চার রানে ম্যাচটি হারের পর ওই লেগবাই চার রান নিয়েই কথা উঠছে। সাবেক ক্রিকেটাররা সমালোচনা করছে আইসিসিও। ক্রিকেটের আইনপ্রণেতা প্রতিষ্ঠানি এমসিসির একটি আইনের কাছেই মূলত হেরেছে বাংলাদেশ। যে আইনের কারণে ওই চার রান পায়নি টাইগাররা।এমসিসির আইনের ২০.১.১.৩ ধারায় বলা আছে, কোনো খেলোয়াড়ের রিভিউ নেওয়ার ফলে যদি আম্পায়ারের দেওয়া আউটের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হয়ে নট আউট হয়, তাহলে প্রথম সিদ্ধান্ত দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বল ডেড হয়ে যাবে। অন ফিল্ড আম্পায়ারের আসল সিদ্ধান্ত নট আউট থাকলে ব্যাটিং পক্ষ যে রানের সুবিধা পেত, রিভিউ পরিবর্তনের সুফল পেলেও ব্যাটিং পক্ষ এ ক্ষেত্রে সেটা পাবে না, যদি না সেটা নো বল হয়।
পেসার ওটনিল বার্টম্যানের বল মাহমুদউল্লাহর পায়ে লেগে চলে যায় বাউন্ডারির বাইরে। এর আগেই অবশ্য এলবিডব্লুর আবেদনে আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার। এরপর মাহমুদউল্লাহ রিভিউ নিলে দেখা যায়, বল স্টাম্পে আঘাত করেনি। আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত তাই পাল্টে যায়। সিদ্ধান্ত পাল্টে গেলেও এমিসিসির ওইনিয়মের কারণে লেগবাই চার রান বাতিল হয়ে যায়।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০
Discussion about this post