নিজস্ব প্রতিবেদক: সিলেটে আন্ত:উপজেলা জেলা প্রশাসক কাপের সহসাই হচ্ছে না। গত ৫ নভেম্বর টুর্ণামেন্টটির দ্বিতীয় সেমিফাইনাল সম্পন্ন হয়ে গেলেও ফাইনাল কবে হবে তা এখনো অনিশ্চিত।
সেমিফাইনাল শেষে শিরোপা নির্ধারণী ফাইনাল ম্যাচটি দেরীতে হওয়ায় ‘টেনশনে’ ফাইনালিস্ট দু’দলের কর্মকর্তারা। তাদের অভিমত টুর্ণামেন্টটি দ্রুত শেষ করলে মঙ্গল হয়। কেননা দেরীতে ফাইনাল হওয়ার কারণে টিম স্পিরিড ভেঙে যায়। খেলার গতি বদলে যায়। খেলোয়াড়দের মানসিকতা ঠিক থাকে না।
অন্য দিকে দীর্ঘ দিন টুর্ণামেন্ট বন্ধ থাকায় আর্থিক ভাবেও ক্ষতি গ্রস্থ হতে হয় উপজেলা ক্রীড়া সংস্থাগুলো। দিনের পর দিনের তাদের অনুশীলন করাতে হয়। যে কারণে এরই মধ্যে গোলাপগঞ্জ উপজেলা ফুটবল দলের অনুশীলনই বন্ধ হয়ে গেছে।
গোলাপগঞ্জ দলের এক কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার রাতে বলেন, দীর্ঘ দিনতো আর অনুশীলনর করা যায়নি। তাছাড়া একটি পরিকল্পনা করে অনুশীলন করাতে হয়। সিডিউল জানা থাকলেই কেবল সেটা করা যায়। কিন্তুু তাও করা যাচ্ছে না।
কেন আন্ত:উপজেলা জেলা প্রশাসক কাপের ফাইনাল আয়োজনে বিলম্ব হচ্ছে তা জানতে চাওয়া হয় টুর্ণামেন্টের আয়োজক সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহি উদ্দিন সেলিমের কাছে। সম্প্রতি মুঠোফোনে তিনি বলেন, বিশিষ্ট অতিথিদের সিডিউল মিলছে না। যে কারনে টুর্ণামেন্টটির ফাইনাল আয়োজন করতে বিলম্ব হচ্ছে।
গতকাল বুধবার দুপুরে তাকে পুনরায় টুর্ণামেন্টের ফাইনাল আয়োজন কবে হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি, জেলা প্রশাসক জয়নাল আবেদীনের সঙ্গে কথা বলতে বলেন।
গতকাল বুধবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি, জেলা প্রশাসক মোঃ জয়নাল আবেদীন এসএনপিস্পোর্টসকে বলেন, টুর্ণামেন্টটির ফাইনাল আয়োজন কবে হবে তা এখনো ঠিক করা হয়নি। পরবর্তীতে জানানো হবে।
গত ২৫ অক্টোবর শুরু হওয়া টুর্ণামেন্টটি ফিক্সার অনুযায়ী শেষ হয়ে যাওয়ার কথা ছিলো গত ৭ নভেম্বর। কিন্তুু তা হয়নি।
সেমিফাইনালের বাঁধা পেরিয়ে টুর্ণামেন্টের ফাইনালিস্ট হয়েছে গোলাপগঞ্জ উপজেলা ফুটবল দল ও বিশ্বনাথ উপজেলা ফুটবল দল। এদু’টি দলের ফাইনাল কবে হবে তা কেউ জানে না।
গোলাপগঞ্জের কোচ নূরী জাহান রাহেল এসএনপিস্পোর্টসকে বলেন, ফাইনাল আয়োজনে দীর্ঘ বিলম্ব হওয়ায় টিম স্পিরিড ভেঙে যাচ্ছে। যেটা আমার দলের মূল শক্তি ছিলো।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/০০