স্পোর্টস ডেস্ক:: তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেলো স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সিরিজ বাঁচাতে হলে শেষ ম্যাচটি জিততে হবেই সফরকারী বাংলাদেশকে। সিরিজের প্রথম ম্যাচটি ভেসে যায় বৃষ্টিতে। ডোমিনিকায় দ্বিতীয় ম্যাচটি ৩৫ রানে জিতে নিয়েছে ক্যারিবিয়ানরা। ব্রেন্ডন কিং আর রভম্যান পাওয়েলের দুর্দান্ত ব্যাটে সিরিজে লিড নেয় স্বাগতিকরা।
টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক নিকোলাস পুরান। অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে যৌক্তিক প্রমাণ করতে বেশি বিলম্ব করেননি ওপেনার ব্রেন্ডন কিং। সাত চার আর এক ছক্কায় ৪৩ বলে ৫৭ রানের ঝলমলে এক ইনিংস খেলেন তিনি। কম যাননি রভম্যান পাওয়েলও। দারুণ ব্যাট করেছেন তিনি।
ক্যারিবিয়ানদের হয়ে ইনিংস সর্বোচ্চ রান করেছেন পাওয়েল। স্বাগতকিদের এই ব্যাটারকে শেষ পর্যন্ত আউট করতে পারেননি কোনো টাইগাররা বোলার। মাত্র ২৮ বলে ছয়টি বিশাল ছক্কা আর দুইটি চারের মারে ৬১ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। উইন্ডিজদের স্কোর নিয়ে যান ৫ উইকেটে ১৯৩ রানে।
১৯৪ রানের বড় লক্ষ্যে খেলতে নামা বাংলাদেশ ব্যাটিং ব্যর্থতায় শেষ পর্যন্ত থামতে হয়েছে ৬ উইকেটে ১৫৮ রানে। দারুণ ব্যাটিং করা পাওয়েল সাকিবের এক ওভার থেকেই আদায় করেন ২৩ রান। তিন ছক্কা আর এক চারের মারছিলো বাংলাদেশের অলরাউন্ডারের ব্যয়বহুল ওভারটিতে। ম্যাচ শেষে তাই সফরকারী দলের অধিনায়ক মাহমুদ উল্লাহদের প্রশংসাও পেলেন তিনি।
উইন্ডিজের এই ব্যাটার দারুণ ব্যাটিং করেছেন জানিয়ে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বলেন, ‘ রভম্যান পাওয়েল অসাধারণ ব্যাটিং করেছে।’ উইকেট ভালো ছিলো জানিয়ে তিনি আরো বলেন, ‘উইকেট ভালো ছিলো। বল ব্যাটে এসেছে। আগের দিন বৃষ্টি দিয়েছিলো। উইকেট ডাকা ছিলো। নাসুমের জায়গায় তাই তাসকিনকে নেওয়া হয়েছে।’
পাওয়ার প্লেতেই পিছিয়ে পড়ে দল জানিয়ে তিনি বলেন, ‘১৯০ রান যখন চেঞ্চ করবেন, তখন ভালো একটা শুরু দরকার। আমরা প্রথম ৬ ওভারের মধ্যেই তিন উইকেট হারিয়ে ফেলি ৪৪ রানের মধ্যে, ওই সময়ই কিছুটা পিছিয়ে পড়ি।’ দু’জন ডানহাতি ব্যাটার থাকায় মোসাদ্দেককে এক ওভারের বেশি বোলিং করাননি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মোসাদ্দেককে বোলিং করাতাম। কিন্তুু ওই সময় দু’জন ডানহাতি ব্যাটসম্যান ছিলো। যার কারণে তাসকিনকে বোলিংয়ে আনি। সাকিব বোলিং করছিলো।’
উইন্ডিজের দুই ব্যাটাররা দলের স্কোরকে বড় করলেও বাংলাদেশের একমাত্র সাকিব ছাড়া আর কেউ ইনিংস বড় করতে পারেননি। পাঁচ চার ও তিন ছয়ে ৫২ বলে ৬৮ রানে শেষ পর্যন্ত সাকিব অপরাজিত থেকেছেন। তবে শুরুর ধীরগতির ব্যাটিংয়ের কারণে লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেননি দলকে। আফিফ হোসেন ধ্রুবও দারুণ শুরু করে ফিরেন দ্রুতই। তিন চার ও এক ছয়ে ২৭ বলে ৩৪ রানের টি-২০ উপযোগী একটি ইনিংস খেলেন তিনি। এক ছক্কায় ১৫ রানের ইনিংস খেলেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। ১১ রান করেন অধিনায়ক নিজে। ব্যাটিং উইকেটের সুবিধা নিতে পারেননি ব্যাটাররা। দুই অঙ্কের ঘর ছুঁতে পারেননি অন্য কেউ।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০