স্পোর্টস ডেস্ক: দেশের হয়ে এক সময়ের সর্বোচ্ছ উইকেট শিকারী আব্দুর রাজ্জাক দলে নেই দীর্ঘ দিন। অভিজ্ঞ এই স্পিনারের অভাবটা দলে অনুভব করছেন দলনেতা মাশরাফি বিন মর্তুজা। সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমে মুখোমুখি হয়ে মাশরাফি বলেন, বন্ধু নয়, দলের একজন খেলোয়াড় হিসেবে রাজের অভাবটা অনুভব করছি।
মাশরাফি-রাজ্জাক দুজনের বন্ধুত্বটা বেশ গাঢ়। কিন্তু এই মুহূর্তে জাতীয় দলে দুজনের মধ্যে বিস্তর ফারাক। একজন জাতীয় দলে পারফর্ম করার পাশাপাশি নেতৃত্ব দিচ্ছেন দলকেও। অন্যজন ‘দূর্ভাগ্যবশত’ ঘরোয়া ক্রিকেটকেই আপন করে নিয়েছেন।
অভিজ্ঞ স্পিনার আব্দুর রাজ্জাক জাতীয় দলের হয়ে সর্বশেষ ওয়ানডে ম্যাচটি খেলেছিলেন ২০১৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে, এশিয়া কাপে। আর বাংলাদেশের জার্সি পরা হয়নি তার।
সম্প্রতি মাশরাফির কারণে আবারো আলোচনায় তিনি। কারণ, ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ উইকেট এখন মাশরাফির। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে মাশরাফি এই অর্জন নিজের করে নেন।
তার আগে দীর্ঘদিন ধরে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রহের (২০৭) রেকর্ডটি বাগিয়ে রেখেছিলেন স্পিনার রাজ্জাক। তাই সর্বোচ্চ উইকেটের কথা আসতেই মাশরাফির মনে রাজ্জাকের স্মৃতি এসেছে স্বাভাবিকভাবেই। শুধু বন্ধু হিসেবেই নয়, ক্রিকেটার হিসেবেই রাজ্জাকের অভাবটা জাতীয় দলে দারুণভাবে টের পাচ্ছেন মাশরাফি।
এ ব্যাপারে মাশরাফি বলেন, ‘বন্ধু হিসেবে নয়,খেলোয়াড় হিসেবেই আমি রাজকে হাইলি রেট করি,অনেক রেসপেক্ট করি। গত কয়েকটা বছর তো ও খেলার সুযোগই পাচ্ছে না। এটা ওর দুর্ভাগ্য। মিস তো করিই। ও খেলতে থাকলে হয়তো ওর উইকেট আরও অনেক বেশি হতো। এটা ওর ব্যাডলাক।’
রাজ্জাকের দীর্ঘ এই বিরতি না থাকলে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারের রেকর্ডটি সাকিব-মাশরাফিদের ধরাছোঁয়ার বাইরেই থাকতো। মাশরাফি এখনো অপেক্ষা করেন, হয়তো আবারও একসঙ্গে জাতীয় দলের হয়েই মাঠে নামবেন দুজন।
জাতীয় দলে সুযোগ না মিললেও ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত পারফর্ম করে যাচ্ছেন। জাতীয় লিগের তিন ম্যাচের দুটিতে বল ও ব্যাট করার সুযোগ হয়েছে তার। সেখানে বল হাতে নিয়েছেন পাঁচ উইকেট। ব্যাট হাতে রান সংগ্রহ করেছেন ১৪৩। সবচেয়ে বড় ইনিংসটি ৯৭ রানের। অপরটি ৪৫।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/প্রি/০০