রান তাড়ায় আত্মবিশ্বাস বাড়ল দক্ষিণ আফ্রিকার

0
115

স্পোর্টস ডেস্কঃ বিশ্বকাপে লিগ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরে মিশন শেষ করল আফগানিস্তান। আহমেদাবাদে আগে ব্যাট করে ২৪৪ রান তোলে আফগানরা। রান তাড়ায় রসি ফন ডার ডুসেনের অপরাজিত ৭৬ ও কুইন্টন ডি ককের ৪১ রানের সুবাদে ৫ উকেট ও ১৫ বল হাতে রেখে জয় পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। এই জয়ে ৯ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থান শক্ত করল তারা।

শুক্রবার আগে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৪১ রান করেন দুই ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান। দলীয় ৪১ রানের মাথায় আফগানদের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন কেশভ মহারাজ। এরপর তিন ওভারে ৪ রান তুলতেই তিনটি উইকেট হারায় আফগানরা।ইনিংসের নবম ওভারে কেশব মহারাজের বলে হেনরিখ ক্লাসেনের হাতে ক্যাচ তুলে দেন ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ (২২ বলে ২৫)।

এর পরের ওভারে ৩০ বলে ১৮ করে কোয়েতজির বলে উইকেটরক্ষক কুইন্টন ডি ককের হাতে ধরা পড়েন জাদরান। ১১তম ওভারে মাত্র ২ রান করে সাজঘরে ফেরত যান অধিনায়ক হাসমতউল্লাহ শহিদি। মহারাজের টানা দ্বিতীয় ওভারে ডি ককের ক্যাচ হন তিনি। এরপর রহমত শাহ (৪৬ বলে ২৬) কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও একের পর এক উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে আফগানিস্তান।

১১৬ রানে ৬টি আর ১৭০ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে দুইশর আগে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় ছিল আফগানরা। কিন্তু ওমরজাই লড়াই করে দলকে নিয়ে যান সম্মানজনক অবস্থানে। ১০৭ বলের ইনিংসে তিনি ৭টি চার ও তিন ছক্কায় ৯৭ রানে অপরাজিত ছিলেন ওমরজাই। প্রোটিয়া পেসার জেরাল্ড কোয়েটজি ৪৪ রানে নেন ৪টি উইকেট। দুটি করে উইকেট শিকার লুঙ্গি এনগিদি আর কেশভ মহারাজের।

জবাব দিতে নেমে ভালো শুরু পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। দুই ওপেনার কুইন্টন ডি কক এবং টেম্বা বাভুমা শুরু থেকেই কিছুটা চালিয়ে খেলছিলেন। ১১ ওভারের মধ্যেই উদ্বোধনী জুটি থেকে ৬৪ রান তুলে ফেলে প্রোটিয়ারা। ২৮ বলে ২৩ রান করে আউট হন বাভুমা। ডি কক ফিফটির কাছে চলে গেলেও ফিফটিটা ছুঁতে পারেননি। দলীয় ৬৬ রানের সময় ৪৭ বলে ৪১ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি।

এরপর এক প্রান্ত ধরে খেলে যাচ্ছিলেন র‍্যাসি ভ্যান ডার ডুসেন। সাবলীল ব্যাটিংয়ে দলের ইনিংসকে সঠিক পথেই রেখেছিলেন তিনি। দৃষ্টিনন্দন ব্যাটিংয়ে চমৎকার সব শটে রান তুলতে থাকেন ডুসেন। দলের চাহিদা মিটিয়ে কার্যকরী ব্যাটিংয়ে এগিয়েছেন ডুসেন। এজন্যই পথ হারায়নি দক্ষিণ আফ্রিকা।

দারুণ এক ফিফটি হাঁকান ডুসেন। ফিফটি পেরিয়েও এগিয়ে যাচ্ছিলেন আপন গতিতে। ডুসেন ছাড়া ভালো করেছেন ডেভিড মিলার। ৩৩ বলে ২৪ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। অন্যদিকে শেষ দিকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন আন্দিলে ফিলাকোয়ে। শেষের দিকে ফিলাকোয়ে কিছুটা ঝড়ো ব্যাটিং করেছেন। দুজনের যুগলবন্দীতে জয় পেতে কোনো সমস্যাই হয়নি দক্ষিণ আফ্রিকার। ১৫ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটের জয় তুলে নেয় প্রোটিয়ারা।ফিলাকোয়ে ৩৭ বলে ৩৯ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন। অন্যদিকে ডুসেন ৯৫ বলে ৭৬ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলে টিকে ছিলেন।

এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/১১০

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here