স্পোর্টস ডেস্ক: দীর্ঘ দিন থেকে রানে ভোগা বাংলাদেশ দলের ‘রান মেশিন’ খ্যাত মুশফিকুর রহিম রাজকীয় ভাবেই রানে ফিরলেন। টাইগারদের এই ব্যাটিং স্তম্ভের ব্যাটে চড়ে বাংলাদশ সিরিজ নির্ধারণী গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ২৭৮ রানের টার্গেট দিয়েছে। এই রান সংগ্রহ করতে টাইগাররা নির্ধারিত ওভারে ৬টি উইকেট হারিয়েছে।
নবাগত মোসদ্দককে নিয়ে ইংল্যান্ডের শক্তিশালী ব্যাটিংয়ের বিপক্ষে লড়াই করেছেন মুশফিক। রানের চাকা রেখেছেন সচল। মুশফিক ৬৭ ও মোসাদ্দেক ৩৮ রান করে অপরাজিত থাকেন।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দারুণ শুরুর আভাস দেন টাইগারদের দুই সেরা ওপেনার তামিম এবং ইমরুল। দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের সাবধানী ব্যাটে পাওয়ার প্লে’র ১০ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে বাংলাদেশ তোলে ৪২ রান।
ইনিংসের ১৯তম ওভারে বেন স্টোকসের বলে স্কয়ার লেগে খেলতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন ৫৮ বলে ৪৬ রান করা ইমরুল। তার ইনিংসে ছিল চারটি চার আর একটি ছক্কা। দলীয় ৮০ রানের মাথায় বাংলাদেশের প্রথম উইকেটের পতন ঘটে। ওপেনার ইমরুলের পর বিদায় নেন তামিম ইকবাল। ইনিংসের ২৩তম ওভারে ব্যক্তিগত ৪৫ রান করে আদিল রশিদের শিকার হন তামিম। তার ৬৮ বলের ইনিংসে ছিল পাঁচটি চারের মার।
দলীয় ১২২ রানের মাথায় বিদায় নেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। আদিল রশিদের করা ২৫তম ওভারে বেয়ারস্টোর হাতে ধরা পড়েন ৭ বলে ৬ রান করা রিয়াদ।
এক রানের জন্য অর্ধশতক বঞ্চিত হন সাব্বির রহমান (৪৯)। ৩৩তম ওভারে অাদিল রশিদের বলে জস বাটলারের গ্লাভসবন্দি হন তিনি। তার আগে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে ৫৪ রানের পার্টনারশিপ গড়েন এ ‘মারকুটে’ ব্যাটসম্যান। সাব্বিরের বিদায়ে চতুর্থ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
ইনিংসের ৩৬তম ওভারে স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়ে বিদায় নেন সাকিব। ব্যক্তিগত ৪ রান করে মঈন আলীর বলে বিদায় নেন সাকিব। দলীয় ১৮৪ রানের মাথায় টাইগারদের পঞ্চম উইকেটের পতন ঘটে। এরপর ইনিংসের ৩৯তম ওভারে আদিল রশিদের করা প্রথম বলে বিদায় নেন ৪ রান করা নাসির হোসেন। মিড উইকেটে ভিঞ্চের হাতে সহজ ক্যাচ তুলে দেন নাসির।
শেষ দিকে জুটি গড়েন মুশফিক আর মোসাদ্দেক। এই জুটি থেকে আসে ৮৫ রান।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/বা/০০