রাব্বির ক্যামিও ইনিংসের পরও জিততে পারলো না বাংলাদেশ

0
98

স্পোর্টস ডেস্কঃ হার দিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজ শুরু করলো বাংলাদেশ। উদ্বোধনী ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে ২১ রানে হেরেছে টাইগাররা। লিটন দাস, ইয়াসির আলি রাব্বিদের ক্যামিও জেতাতে পারেনি বাংলাদেশকে।

বিশেষ করে রাব্বি চেষ্টা করেছিলেন শেষ দিকে। তবে তার দুইশ স্ট্রাইক রেটে ৪১ রানের ইনিংসেও কাজ হয়নি। হার দেখেই মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ। ১৬৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে মূলত শুরুর দিকে ধীর গতির ব্যাটিংই কাল হয়েছে বাংলাদেশের জন্য।

বড় লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে মেহেদী হাসান মিরাজ ও সাব্বির রহমানের মধ্যকার ৪.২ ওভার স্থায়ী উদ্বোধনী জুটি থেকে আসে ২৫ রান। মিরাজ ১১ বলে ১০ রান করে আউট হয়ে ফিরলে ভাঙে সেই জুটি। দ্রুতই ফিরে যান সাব্বির রহমান। টানা ব্যর্থতার ধারা অব্যাহত রেখে এই ব্যাটার এদিন ১৮ বলে মাত্র ১৪ রান করেছে। অনেকটা সময় উইকেটে থেকেও ১টির বেশি বাউন্ডারি হাঁকাতে পারেননি।

পরবর্তীতে দলের হাল ধরেন লিটন দাস ও আফিফ হোসেন ধ্রুব। দুজনে মিলে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন ম্যাচ। তৃতীয় উইকেটে তাদের ৫০ রানের জুটি ভাঙে লিটনের বিদায়ে। দারুণ ব্যাট করতে থাকা লিটন খেলেন ২৬ বলে ৪ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ৩৫ রানের ইনিংস। উইকেটে এসে টিকতে পারেননি মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। গোল্ডেন ডাক মেরে ফিরে যান।

লিটন-মোসাদ্দেককে ফিরিয়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন মোহাম্মদ নওয়াজ। একটা সময় ২৩ বলে ২৫ রান করা আফিফও ফিরে যান। দলীয় শতকের আগে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। ব্যর্থ হন নুরুল হাসান সোহান।

একা চেষ্টা করেন ইয়াসির আলি রাব্বি। তবে সেটি যথেষ্ট ছিল না। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে বাংলাদেশ থামে ৮ উইকেটে ১৪৬ রানে। ২১ বলে ৫ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় ৪২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন ইয়াসির।

পাকিস্তানের হয়ে ওয়াসিম জুনিয়র ৪ ওভারে ২৪ রান খরচায় ৩টি উইকেট শিকার করেন। নওয়াজ ২টি, হ্যারিস রউফ, শাদাব খান ও শাহনওয়াজ দাহানি ১টি করে উইকেট লাভ করেন।

এর আগে ক্রাইস্টচার্চে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ১৬৭ রান সংগ্রহ করতে পারে পাকিস্তান দল। ফিফটি হাঁকিয়েছেন মোহাম্মদ রিজওয়ান।

শুরুতে ৫২ রানের উদ্বোধনী জুটি পায় পাকিস্তান। মিরাজের শিকারে পরিণত হয়ে অধিনায়ক বাবর আজমের বিদায়ে ভাঙে ৭.১ ওভার স্থায়ী সেই জুটি। তবে আউট হওয়ার আগে ২৫ বলে ২২ রানের ধীর গতির এক ইনিংস খেলে যান বাবর।

পরবর্তীতে পাকিস্তানের রানের চাকা সচল করার চেষ্টা করেন মোহাম্মদ রিজওয়ান ও শান মাসুদ। ৪২ রানের সেই জুটি ভাঙে মাসুদের বিদায়ে। নাসুমের বলে হাসান মাহমুদের দারুণ ক্যাচে আউট হওয়ার আগে ২২ বলে ৪ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ৩৪ রানের ইনিংস খেলে যান তিনি।

এরপর প্রায় একা হাতেই পাকিস্তানের ইনিংস টেনে নিয়ে যান রিজওয়ান। ক্যারিয়ারের ২১তম টি-টোয়েন্টি ফিফটি হাঁকিয়ে অপরাজিত থাকেন ৭৮ রানে। তার ৫০ বলের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৭ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায়।

বাংলাদেশের হয়ে বাজে বোলিং করেছেন মুস্তাফিজুর রহমান ও হাসান মাহমুদ। এর মধ্যে মুস্তাফিজ ৪ ওভারে ৪৮ রান খরচ করেছেন। ডেথ ওভারে ছিলেন বিবর্ণ। একাদশে ফেরা হাসান মাহমুদ ৪ ওভারে ৪২ রান খরচ করলেও, ১টি উইকেট পেয়েছেন অবশ্য।

তবে দুর্দান্ত ছিলেন তাসকিন। ৪ ওভারে মাত্র ২৫ রান খরচায় শিকার করেছেন ২টি উইকেট। নাসুম ৪ ওভারে ২২ রান খরচায় ১ উইকেট ও মিরাজ ২ ওভারে ১২ রান খরচায় ১ উইকেট লাভ করেন।

এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/সা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here