স্পোর্টস ডেস্ক:: আইসিসির নিষেধাজ্ঞার আগ পর্যন্ত সাকিব আল হাসান ছিলেন টেস্ট ও টি-২০ অধিনায়ক। নিষেধাজ্ঞা থেকে ফেরার পর দিন কয়েক আগে টেস্ট অধিনায়কত্বে ফিরেছেন তিনি। তার নিষেধাজ্ঞা আসার পরই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড তিন ফরম্যাটে তিন অধিনায়কের সিদ্ধান্ত নেয়।
টি-২০ অধিনায়ক করা হয় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে। তার নেতৃত্বে সাফল্য পাচ্ছে না বাংলাদেশ দল। মাঠের সিদ্ধান্তে প্রায় ভুল করছেন অধিনায়ক। কখনো কখনো ম্যাচ তুলে দিচ্ছেন প্রতিপক্ষের হাতেও। নিজেও নেই রানে। যেখানে ব্যাট হাতে তাঁকে নেতৃত্ব দেওয়ার কথা, সেখানে উল্টো তিনিই আছেন দলের ‘বোঝা’ হয়ে।
রিয়াদের অধিনায়কত্বে থাকা না থাকা নিয়ে এরই মধ্যে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। আগামি টি-২০ বিশ্বকাপের অধিনায়ক বদল চাচ্ছেন অনেকেই। তবে এনিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড এখনো নিশ্চুপ। এবার সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল জানালেন তার অভিমত। তিনিও নিষেধাজ্ঞায় পড়ে চলে যান জাতীয় দলের বাইরে। ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরলেও জাতীয় দলে আর ফিরতে পারছেন না।
সাকিব অধিনায়ক হলে দলের জন্য ভালো হবে জানিয়ে একটি গণমাধ্যমকে মোহাম্মদ আশরাফুল বলেন, ‘সব ফরম্যাটে নিয়মিত খেললে সাকিবই প্রথম পছন্দ। নিষেধাজ্ঞায় যাওয়ার আগে টি-২০ ও টেস্টে সাকিব কিন্তুু অধিনায়ক ছিলো। সে নিষেধাজ্ঞায় যাওয়ার পর আমরা তিন ফরম্যাটে তিন অধিনায়ক চিন্তা করেছি।’
গত টি-২০ বিশ্বকাপ থেকেই বাংলাদেশ দলের বাজে পারফরম্যান্স চলছে। তার সঙ্গে অধিনায়ক রিয়াদের অসহায়ত্ব ফুটে উঠছে মাঠেই। ব্যাট হাতে ব্যর্থ দলনেতা মাঠের সিদ্ধান্তেও যেনো প্যাচ বাধিয়ে ফেলেন। সবশেষ উইন্ডিজের বিপক্ষে টি-২০ সিরিজের শেষ ম্যাচে যখন স্পিনাররা প্রতিপক্ষকে চেপে ধরেছেন, তিনি তখন পেসারদের বোলিংয়ে এনে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হারান। এমনকি ম্যাচে সাকিবের ২ ওভারও বাকী থেকে যায়। মোসাদ্দেক এক ওভার মেডেন দিয়ে ১ উইকেট শিকার করলেও তাকে আর বোলিংই দেননি তিনি।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০