স্পোর্টস ডেস্কঃ এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে রেকর্ড গড়া জয় পেয়েছে পাকিস্তান। বুধবার আগে ব্যাট করে ৩৪২ রানের পাহাড়সম পুঁজি পায় বাবর আজমের দল। রান তাড়ায় ১০৪ রানে অলআউট হয়ে যায় নেপাল। ২৩৮ রানের বড় জয় পায় পাকিস্তান। এশিয়া কাপে পাকিস্তানের এটাই সবচেয়ে বড় জয়। এই টুর্নামেন্টের ইতিহাসে রানের হিসেবে এর চেয়ে বড় ব্যবধানে জয় আছে আর একটি। ২০০৮ সালের আসরে হংকংকে ২৫৬ রানে হারিয়েছিল ভারত।
৩৪৩ রানের জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নামা নেপালকে শুরু থেকেই চেপে ধরে স্বাগতিক পাকিস্তান। মাত্র ১৪ রানে তাদের ৩ উইকেট তুলে নেয় শাহিন শাহ আফ্রিদি-নাসিম শাহদের সমন্বয়ে গড়া পাকিস্তান পেস বিভাগ। তিন উইকেট হারানোর পর প্রতিরোধ গড়েছিলেন আরিফ শেখ ও সোমপাল কামি মিলে। দুজনে চতুর্থ উইকেটে গড়ে তুলেন ৫৯ রানের জুটি।
এরপর হারিস রউফের বলে বোল্ড হয়ে মাঠ ছাড়েন আরিফ। ৩৮ বলে ৫ চারে ২৬ রান করেন তিনি। এরপরই বিদায় নেন কামি, ৪৬ বলে তিনি করেন ২৮ রান। গুলশান শাহ ১৩ রান করলেও বাকিদের কেউই উইকেটে টিকতে পারেননি। তাতে মাত্র ১০৪ রানেই গুটিয়ে যায় নেপালের ইনিংস। বাবর আজমরা পান বিশাল ব্যবধানে জয়। পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নেন শাদাব খান। হারিস ও আফ্রিদি নেন দুটি করে উইকেট।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান ২৫ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ফেললেও বাবর ও রিজওয়ান মিলে হাল ধরেন। তৃতীয় উইকেট জুটিতে তারা স্কোর বোর্ডে যোগ করেন ৮৬ রান। রিজওয়ান ৪৪ রান করে রানআউটের শিকার হন। আগা সালমান বিদায় নেন ৫ রানে। এরপর ইফতিখার আহমেদকে নিয়ে ঝড় তোলেন বাবর। দুজনেই সেঞ্চুরি তুলে নেন।
বাবর ১৫১ রান করতে খেলেন ১৩১ বল। তার ইনিংসে ছিল ১৪টি চার ও ৪টি ছয়ের মার। এশিয়া কাপের ইতিহাসে কোনো অধিনায়কের এটিই সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস। ২০১৪ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে বিরাট কোহলির করা ১৩৬ রানকে টপকে যান বাবর। ইফতিখার ১১ চার ও ৪ ছয়ে ৭১ বলে করেন ১০৯ রান। নেপালের হয়ে ২ উইকেট নেন সোমপাল কামি।
Discussion about this post