স্পোর্টস ডেস্ক:: পেপ গার্দিওয়ালার জন্য এক স্বপ্নের রাত। পৃথিবী জয় করা এক রাত। ক্লাব ফুটবলে ‘রেকর্ড’ গড়ে এক মৌসুমে তিন ট্রফি। ইউরোপ সেরার মুকুটও সিটির ঘরে। ইস্তাম্বুলে ফাইনালের মহারণে ইন্টার মিলানকে হারিয়ে স্বপ্নের ট্রেবল জয় হলো ম্যানচেস্টার সিটি।
নিষ্প্রাণ প্রথমার্ধের পর দুর্দান্ত দ্বিতীয়ার্ধে গার্দিওয়ালার জয়ের নায়ক রদ্রি। স্প্যানিশ মিডফিল্ডারের গোলেই সিটির তিন ট্রফি জয়ের স্বপ্ন পূরণ হলো। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতে ইউরোপ সেরাও হলো সিটি।
রদ্রি সুযোগ পেয়েছে সিটিকে শিরোপা জিতেছেন, লুকাকু সুযোগ পেয়ে দলকে শিরোপা বঞ্চিতই করলেন। ৬৮তম মিনিটে মিলানের ডিফেন্ডারদের ভুলের সুযোগ নিয়ে রদ্রি গোল করেন। অথচ শেষ দিকে লুকাকু সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি। এদেরসনের পায়ে মারেন হেড। তাতেই স্বপ্নের শিরোপার হাতছাড়া হয়ে যায় মিলানের।
ইস্তাম্বুলের আতাতুর্ক অলিম্পিক স্টেডিয়ামে ইউরোপ সেরা হওয়ার লড়াইয়ের প্রথমার্ধে হতাশ হন সমর্থকেরা। নিষ্প্রাণ লড়াইয়ে গোলের দেখা পায়নি কেউ। জমছিলো না শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই। রদ্রির গোলের পর ফাইনালের মহারণ শেষ মূহুর্তে জমিয়ে তুলে দুই দল। গোল শুন্য প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধে রদ্রির দুর্দান্ত এক গোলে সিটি এগিয়ে যাওয়ার পরপরই ইন্টার মিলান আক্রমণের পর আক্রমণ করতে থাকে। তবে গোলরক্ষকের অসাধারণ দূঢ়তায় শেষ পর্যন্ত স্বপ্নের ট্রেবল জয় হলো সিটির।
ইস্তাম্বুলে ইন্টার মিলানকে ১-০ গোলে হারিয়ে ইতিহাস গড়লো পেপ গার্দিওয়ালার দল। এক মৌসুমেই স্বপ্নের তিন শিরোপা ঘরে তুললো হল্যান্ডরা। অথচ ম্যাচটির প্রথমার্ধ দেখে সমর্থকেরা কিছুটা হতাশ হন। নিষ্প্রাণ প্রথমার্ধে যে গোলের দেখা পায়নি কোনো দলই। আক্রমণাত্মক খেলায়ও যায়নি সিটি-মিলানের কেউই। শেষ পর্যন্ত তাই গোল শুন্য সমতায় ম্যাচ রেখে বিরতিতে যায় দুই দল।
বিরতির পর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেও ম্যাড়ম্যাড়ে ভাব থেকে যায়। তবে ম্যাচের ৬৮তম মিনিটেই উত্তেজনা ছড়ানোর শুরু। মিলানের রক্ষণের খেলোয়াড়রা ভুল বোঝাবুঝিতে বলের নিয়ন্ত্রণ হারান। স্প্যানিশ মিডফিল্ডার রদ্রি দারুণ এক গোলে সিটিকে এগিয়ে দেন ১-০ গোলে।
ইউরোপ সেরা হওয়ার লড়াইয়ে লিড নেওয়া হল্যান্ডরা ব্যবধান বাড়ানোর চেষ্টা করতে থাকে। তবে ইন্টারের রক্ষণে আর চিড় ধরাতে পারেনি। লাউতারো মার্টিনেজরা একের পর এক আক্রমণে ব্যস্ত রাখে সিটির রক্ষণভাগকে। শেষ দিকে বেশ কয়েকটি সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি দলটি।
ম্যাচের শেষ দিকে সমতায় ফিরতে পারতো ইন্টার। লুকাকু সুযোগ হারানো তা আর হয়নি। ম্যাচের ৮৮তম মিনিটে সতীর্থের হেড থেকে পাওয়া বল তিনি সিটির জালে পাঠানোর এক বড় সুযোগ ছিলো তার সামনে। গোলরক্ষক এদেরসন ছাড়া কোনো বাঁধাই ছিলো না। অথচ হেডে তিনিও বল পাঠালেন এদেরসনের পায়েই। ম্যাচে ফেরার শেষ সুযোগও হারিয়ে স্বপ্নের শিরোপার জলাঞ্জলি দিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় মিলানকে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন তাই পূরণ হয়নি মিলানের। ১-০ গোলের জয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চ্যাম্পিয়ন সিটি।
ফাইনালে সিটিকে হারাতে পারলে ইতিহাস গড়তো ইন্টার মিলান। সেই তাদেরকে হারিয়ে নতুন ইতিহাস করলো সিটি। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা, এএফ কাপের শিরোপার পর সোনার হরিণ খ্যাত চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপাও নিজেদের করে দিলো গার্দিওয়ালার শিষ্যরা।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০
Discussion about this post