স্পোর্টস ডেস্ক:: ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর দলবদল নিয়ে নাটক হচ্ছেই। ব্যয় বেতনের এই তারকাকে দলে নিতে চাচ্ছিলো না কেউ। শেষ পর্যন্ত তিনি বাধ্য হয়ে বেতন কমানোর সিদ্ধান্ত নেন। এরপর এই তারকার প্রতি আগ্রহ দেখায় অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ।
মাদ্রিদের কর্তারা রোনালদোর এজেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। তাকে দলে ভেড়ানোর চেষ্টা করছেন। এমন খবরে ক্লাবটির সমর্থকেরা তীব্র বিরোধীতা করছেন। তারা ক্লাবে জার্সিতে চাচ্ছেন না সিআর সেভেনকে। সমর্থকেরা সরব হয়ে উঠছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। চালাচ্ছেন প্রচারণা।
পর্তুগিজ সুপার স্টারকে নিতে চায়নি চেলসি, বার্সা, বায়ার্ন মিউনিখ আর পিএসজির মতো ক্লাবগুলো। কারণ একটাই তার উচ্চ বেতন। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের এই তারকা এবার বেতন কমিয়েও ক্লাব ছাড়ততে চাইছেন। বর্তমান বেতনের ৩০ শতাংশ তিনি কমাতে রাজি রয়েছেন।
ম্যানইউতে সিআর সেভেন বর্তমানে বছরে তিন কোটি ইউরো বেতন পাচ্ছেন। তার বেতনের পিছনে এই বিপুল ব্যয় করতে চাইছে না কোনো ক্লাবই। তাই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডও ছাড়তে পারছেন না তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত বেতন কমাতে রাজি হয়েছেন রোনালদো। আর তাতেই তার প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ।
রোনালদোর এজেন্ট জর্জ মেন্দেস জানিয়েছেন, অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ আগ্রহ দেখিয়েছে এই তারকার প্রতি। যুক্তরাষ্ট্রের নিউজ নেটওয়ার্ক সিবিএসের বরাতে স্প্যানিশ দৈনিক এএস খবর দিয়েছে, রোনালদো বেতন ৩০ শতাংশ কমাচ্ছেন। তবুও তিনি ম্যানইউতে থাকতে চাইছেন না।
স্প্যানিশ ক্রীড়া দৈনিক এএস আরো জানিয়েছে, রোনালদো বেতন কমাতে রাজি হওয়াতে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের কর্মকর্তারা আগ্রহী হচ্ছেন। সিআর সেভেনের এজেন্টের সঙ্গে তারা কথাবার্তাও চালিয়ে যাচ্ছেন। আর সেই খবরে চটেছেন ক্লাবটির সমর্থকেরা। কারণ, তাদের শহর প্রতদ্বি›দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের সাথে জড়িয়ে আছে রোনালদোর নাম। সেই ক্লাবটির হয়ে খেলার সময়ে তিনি অ্যাটলেটিকোর সমর্থকদের নিয়ে সন্তুুষ জনক ব্যবহার করেন নাই।
আর সে কারণেই টুইটারে ‘হ্যাশট্যাগ কন্ট্রাসিআর সেভেন’ ব্যবহার করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে তারা, যার বাংলা অর্থ দাঁড়ায় ‘সিআর সেভেনের বিপক্ষে’। তার ক্লাবটিতে য্ওায়ার গুঞ্জন শুরু হ্ওয়ার পর থেকেইে স্পেনে ট্রেন্ডিং রয়েছে এই হ্যাশট্যাগ।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম সানের কাছে জোনাথান ফার্নান্দেজ নামের এক আতলেতিকো সমর্থক বলেছেন, ‘ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো আতলেতিকো মাদ্রিদের জার্সি পরতে পারেন না। এটা একদম সহজ একটি ব্যাপার। তিনি এমন একজন খেলোয়াড় যিনি আতলেতিকোর সমর্থকগোষ্ঠীকে অসম্মান করেছেন এবং তাদেরকে নিয়ে বিদ্রূপ করেছেন।’
বিশেষ করে জুভেন্টাসে থাকাকালে ২০১৯ সালে রোনালদো অ্যাটলেটিকোর সমর্থকদের আঘাত কনে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলতে সমর্থকদের চক্ষুশূল হয়েছিলেন রোনালদো। প্রথম লেগে হারের পর হাতের ‘পাঁচ আঙুল’ উঁচু করে প্রদর্শন করেন তিনি। তিনি বুঝাতে চেয়ে ছিলেন তার নামের পাশে পাঁচটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থাকলেও আতলেতিকোর নেই একটিও। যদ্ওি দ্বিতীয় লেগে জুভেন্টাসকে জেতান তিনি।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০