স্পোর্টস ডেস্কঃ টানা তিন জয়ে উড়ছিল এমআই এমিরেটস, আর টানা তিন হারে ধুকছিল দুবাই ক্যাপিটালস। অবশেষে পঞ্চম ম্যাচে এসে নিজেদের দ্বিতীয় জয়ের দেখা পেলো দলটি। রোভম্যান পাওয়েলের ব্যাটিং ঝড়ের ম্যাচে ১৬ রানে জিতেছে দুবাই।
আগে ব্যাট করে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে ২২২ রানের পাহাড় গড়ে দুবাই। যা কিনা এই আসরের সর্বোচ্চ রান। পাওয়ার প্লে’র ৬ ওভারে ৫৯ রান তুলেছিল দুবাই, কোনো উইকেট না হারিয়ে। রবিন উথাপ্পা ও জো রুটের জুটি ভাঙে নবম ওভারে দলীয় ৭৮ রানের মাথায়। ২৬ রানে থামেন উথাপ্পা।
এরপর রুট ও রোভম্যানের ব্যাটিং দাপট চলে। ইনিংসের ১৯তম ওভারে ভেঙে যায় দুজনের ১১৯ রানের জুটি। ৫৪ বলে ৮ চার ও ৩ ছয়ে ৮২ রান করেন রুট। ইনিংসের একেবারে শেষ বলে রোভম্যান আউট হন । শেষ ওভারে তিন ছয় মেরে সেঞ্চুরির দিকে ছুটছিলেন এই ক্যারিবিয়ান ব্যাটার। সেঞ্চুরি থেকে তিন রান দূরে থাকতে, ক্যাচ আউটের শিকার হন। ৪১ বলে ৪টি চার ও ১০ ছক্কার মারে ৯৭ রানে থামেন ক্যাপিটালস অধিনায়ক রোভম্যান।
এমআই এমিরেটসের হয়ে ১টি করে উইকেট লাভ করেন অধিনায়ক কাইরন পোলার্ড, জাহুর খান ও ফজলহক ফারুকী।
২২৩ রানের লক্ষ্যে নেমে দুবাইয়ের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে পেরে ওঠেনি এমিরেটস। ২৬ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে তারা। যদিও পোলার্ড ঝড় তুলে লড়াইয়ের আভাস দেন। ৩৮ বলে ৮ চার ও ৬ ছয়ে ৮৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন।
তিনি আউট হওয়ার পর নজিবউল্লাহ জাদরান ও সামিত প্যাটেল শেষ চেষ্টা চালান। তবে কাজ হয়নি। শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেট হারিয়ে তাদের থামতে হয় ২০৬ রানে। নাজিবউল্লাহ ৯ বলে ১ চার ৪ ছক্কায় ৩০ রান করেন। সামিত ৬ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় ১৮ রান করে অপরাজিত থাকেন। এর বাইরে ৩৪ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ৩৫ রান করে অপরাজিত থাকেন আন্দ্রে ফ্লেচার।
দুবাই ক্যাপিটালসের হয়ে ৪ ওভারে ২৪ রান খরচায় হযরত লুকমান ২টি উইকেট নেন। ফ্রেড ক্লাসেন, চামিকা করুণারত্নে ও পাওয়েল ১টি করে উইকেট লাভ করেন।
৪ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে এমিরেটস টেবিলের তৃতীয় স্থানে। ৫ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট পেয়ে চারে দুবাই।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/সা
Discussion about this post