স্পোর্টস ডেস্ক:: জয়ের সুখ স্মৃতি পেতে বাফুফে উড়িয়ে এনেছিলো ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে সাত ধাপ পেছনে অর্থাৎ ১৯৯ নম্বরে থাকা সিশেলসকে। কিন্তুু কাজ হয়নি। হেরে যেতে হয়েছে জামাল ভুঁইয়াদের। ঘরের মাঠে অপেশাদার ফুটবলারদের নিয়ে গড়া একটি দলের কাছে হেরে যাওয়ার পর আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে।
দুই ম্যাচের প্রীতি সিরিজের প্রথম ম্যাচটি ১-০ গোলে জিতলেও দ্বিতীয় ম্যাচে ১-০ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ। সিশেলসের কাছে সেই হারের পর আলোচনা-সমালোচার ঝড় বইছে। যে দেশের ফুটবলাররা পার্ট টাইম ফুটবল খেলেন তাদের কাছে হার মেনে নিতে পারছেন না সমর্থকেরা।
বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবলে ফুটবলাররা পারিশ্রমিক পান ৫০./৬০ লাখ থেকে কোটি টাকারও বেশি। অথচ সিশেলসের ঘরোয়া লিগে টাকা মিলে না ফুটবলারদের। মাত্র ১ লাখ জন সংখ্যার দেশটির অপেশাদার ফুটবলারদের কাছে হারতে হয়েছে ১৮ কোটির বেশি মানুষের বাংলাদেশকে।
এই হারের পর সাবেক কিংবদন্তী ফুটবলার আসলাম বলছেন, দেশের ফুটবলের সব জৌলস ধুয়েমুছে গেছে। ফুটবলারদের সমালোচনা করে তিনি একটি গণমাধ্যমকে বলেন, ক্লাব ফুটবলে অতিরিক্ত পারিশ্রমিকই জাতীয় দলের প্রতি নিবেদন কমিয়ে দিচ্ছে ফুটবলারদের।
সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার একের পর এক সুযোগ মিসে হারে বাংলাদেশ দল। গোল আদায়ে ব্যর্থ হওয়া দল উল্টো ডি-বক্সের ভেতর ফাউল করে পেনাল্টি উপহার প্রতিপক্ষকে। সেখান থেকে গোল হজম। সমতায় ফেরার দারুণ সুযোগ। কিন্তু এলিটা কিংসলের একের পর এক গোলের সহজ সুযোগ মিস। সব মিলিয়ে হতশ্রী পারফম্যান্সে সিশেলসের কাছে ১-০ গোলে হার বাংলাদেশের।
প্রথম ম্যাচ জিতলেও, দ্বিতীয় ম্যাচ হেরে ফিফা টায়ার-১’র আন্তর্জাতিক ম্যাচের সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ করেছে বাংলাদেশ। সিরিজ ঘুরে দাঁড়িয়ে তাই প্রাপ্তির হাসি সিশেলসের। এক লাখ জনসংখ্যার দেশ হাসিমুখেই বিদায় নিচ্ছে।
সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্বক ছিল বাংলাদেশ। তবে গোলের দেখা পাচ্ছিল না। সময় যত গড়াচ্ছিল, ততই বাড়ছিল হতাশা। একের পর এক সুযোগ মিসে গোল হাতছাড়া হয়েছে। রাকিব সহজ সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি। ২৭তম মিনিটে রবিউল গোলের সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি।
ম্যাচের প্রথমার্ধের শেষ দিকে তপু বর্মণকে হতাশায় ডুবান সিশেলসের গোলরক্ষক। এর বাইরেও ছোট ছোট আক্রমণ ছিল আরও। অপরদিকে সিশেলসের পক্ষ তেমন বলার মতো কোনো আক্রমণ ছিল না। শেষ দিকে এসে কিছুটা ভয় ধরিয়েছে দলটি। তবে শেষ পর্যন্ত আর গোল হয়নি। ম্যাড়ম্যাড়েভাবেই প্রথমার্ধের সমাপ্তি হয়েছে।
গোলশূন্যতায় প্রথমার্ধ শেষ হলেও, দ্বিতীয়ার্ধে এসেছে গোল। ৬০তম মিনিটে ডি-বক্সের ভেতর ফাউল করে বসেন সাদ উদ্দিন। পেনাল্টি পেয়ে যায় অতিথিরা। সিশেলসের হয়ে ডিফেন্ডার মাইকেল গোল করতে ভুল করেননি একেবারেই। একাধিক ফুটবলার পরিবর্তন করেও ম্যাচে ফিরতে পারেনি বাংলাদেশ।
উল্টো গোল মিসের মহড়া দেখতে হয়। বদলি নেমে সুবিধা করতে পারেননি এলিটা কিংসলেও। অনেকগুলো সহজ সুযোগ মিস করে শেষ পর্যন্ত হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় বাংলাদেশকে। এর মধ্যে ৭৫তম মিনিটে বাংলাদেশের একটি পেনাল্টির আবেদন থাকলেও, সেটিতে সাড়া দেননি রেফারি। শেষ পর্যন্ত তাই হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় বাংলাদেশকে।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/০০