নিজস্ব প্রতিবেদকঃ কিছুদিন আগে হুট করে বাংলাদেশের ক্রিকেটে ঝড় বয়ে যায়। আফগানিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যকার তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ চলাকালীন সবাইকে অবাক করে দিয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডের পরদিনই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেন তামিম ইকবাল।
তবে নাটকীয়ভাবে পরদিনই অবসর সিদ্ধান্ত তুলে নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাৎ করে। আপাতত বিশ্রামে আছেন তামিম। পুরোপুরি ফিট হওয়ার চেষ্টা করছেন। দুবাইয়ে পরিবার নিয়ে ছুটি কাটিয়ে এখন ইংল্যান্ডে চিকিৎসা করাচ্ছেন এই বাঁহাতি ড্যাশিং ওপেনার।
লন্ডনে তামিমের চিকিৎসা নিয়ে শুক্রবার এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। গণমাধ্যমকে দেওয়া সেই বিবৃতিতে জানানো হয়, সেখানে একজন মেরুদণ্ড বিশেষজ্ঞকে দেখিয়েছেন তামিম। আর তার সাথে ছিলেন বিসিবির প্রধান চিকিৎসক ডা. দেবাশীষ চৌধুরি। তিনি জানিয়েছেন, আপাতত তামিমকে দুই দিনের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। এরপরই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ডা. দেবাশীষ চৌধুরি বলেন, ‘তামিম লন্ডনে মেরুদন্ড বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী গতকাল (বৃহস্পতিবার) থেকে কাজ শুরু করেছে। দুই দিনের পর্যবেক্ষণে তাকে রাখা হবে। এরপর আমরা তার বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।’
এদিকে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, তামিমের পিঠের পুরোনো চোটের জন্য ইনজেকশন নিয়েছেন। সেই ইনজেকশনের পরই পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। যদি ইনজেকশন পুরোপুরিভাবে কাজে দেয়, তাহলে দুই থেকে তিন মাসের জন্য নিরাপদ থাকবেন। এতে এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপে খেলতে বাঁধা থাকবে না। তবে কাজে না দিলে, অপারেশনের টেবিলে যেতে হতে পারে তামিমকে। যার জন্য অন্তত চার মাস মাঠের বাইরে থাকতে হতে পারে। যা কিনা, তাকে এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে দেবে।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/সা