স্পোর্টস ডেস্ক:: বল হাতে দুর্দান্ত হয়ে উঠা মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত আর ব্যাট হাতে লিটন দাসের ফিফটিতে সিরিজের দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচে সাত উইকেটের বড় জয়ে সমতায় ফিরেছে বাংলাদেশ দল। তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজে এখন ১-১ সমতা। সিরিজের শেষ ম্যাচটি হয়ে উঠলো সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে।
আগে ব্যাট করতে নামা জিম্বাবুয়ে মোসাদ্দেক হোসেনের স্পিন বিষে নীল হওয়ার আগে মাত্র ১৩৫ রান তুলে। জবাবে খেলতে নামা বাংলাদেশ লিটন দাসের অর্ধশতকে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করে ফেলে।
সাত উইকেট ও ২ ওভার ৩ বল হাতে রেখেই সিরিজে ফেরে টাইগাররা।
১৩৬ রানের টার্গেটে খেলতে নামা টাইগারদের খুব একটা পরীক্ষা নিতে পারেনি স্বাগতিক বোলাররা। মুনিম শাহরিয়ার ও লিটন দাসের উদ্বোধনী জুটি থেকেই বাংলাদেশ তুলে নেয় ৩৭ রান। ইনিংসের পঞ্চম ওভারের তৃতীয় বলে ব্যক্তিগত ৭ রানে মুনিম ফিরে গেলে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি।
দ্বিতীয় উইকেটে বিজয় ও লিটন ৪১ রানের জুটি গড়েন। দলীয় ৭৮ রানে দ্বিতীয় উইকেটে লিটন ফেরেন সাজঘরে। তার আগে ৩৩ বলের ঝড়ো ইনিংসে ৫৬ রান করেন এই ওপেনার। ছয় চার আর দুই ছক্কায় সাজানো ছিলো তার ম্যাচ জয়ের বড় ইনিংসটি। তার বিদায়ের পর দ্রুতই ফিরেন বিজয়। ইনিংসের দশম ওভারের তৃতীয় বলে দলীয় ৭১ রানে ব্যক্তিগত মাত্র ১৬ রানে বিজয় পথ ধরেন প্যাভেলিয়নের।
চতুর্থ উইকেটে আফিফ হোসেন ও নাজমুল হোসেন শান্ত আর কোনো উইকেট হারাতে দেন দলকে। ৪৮ রানে র জুটি গড়ে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন তারা। এক চার ও এক এক ছয়ে ২৮ বলে ৩০ রানে আফিফ এবং এক চারে ১৯ বলে ২১ রানে শান্ত অপরাজিত থাকেন।
জিম্বায়ে রহয়ে শেন উইলিয়ামস, রিচার্ড নাগরাবা ও সিকান্দার রাজা ১টি করে উইকেট লাভ করেন।
এর আগে হারারেতে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটের বিনিময়ে ১৩৫ রানের সংগ্রহ পেয়েছে স্বাগতিকরা। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশি স্পিনার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের তোপের মুখে পড়ে জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং লাইনআপ। মোসাদ্দেক একাই ৫ উইকেট নিয়ে ধসিয়ে দেন জিম্বাবুয়ের টপ অর্ডার। মাত্র ৩১ রানেই পাঁচ উইকেট হারিয়ে ফেলে দলটি। একে একে ফিরে যান রেগিস চাকাভা, ওয়েসলি মাধেভেরে, ক্রেইগ আরভিন, শন উইলিয়ামস ও মিল্টন শুম্বা। সবগুলো উইকেটই শিকার করেন মোসাদ্দেক।
তবে সেখান থেকে সিকান্দার রাজা ও রায়ান বার্লের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়িয়েছে স্বাগতিকরা। ষষ্ঠ উইকেটে ৮০ রানের জুটি গড়ে দলকে রক্ষা করেন তারা। বার্লের উইকেটের মধ্য দিয়ে ভাঙে সেই জুটি। হাসান মাহমুদের বলে বোল্ড আউট ফেরার আগে বার্ল করে যান ৩১ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ৩২ রান।
দ্রুতই ফিরে যান সিকান্দার রাজা। ৬২ রানের দারুণ ইনিংস খেলে দলকে লড়াকু সংগ্রহ এনে দেন রাজা। তার ৫৩ বলে ইনিংসটি সাজানো ছিল ৪ বাউন্ডারি ২ ছক্কায়। মুস্তাফিজুর রহমান শিকার করেন গুরুত্বপূর্ণ সেই উইকেট। এরপর লুক জঙ্গের ৫ বলে ১১ রানের অপরাজিত ইনিংসে লড়াই করার মতো সংগ্রহ পায় জিম্বাবুয়ে।
বাংলাদেশের হয়ে অফ-স্পিন অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক দেখা পেয়েছেন ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ফিগারের। চতুর্থ বাংলাদেশি হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে পাঁচ উইকেট নেন তিনি। নিজের চার ওভারের কোটা পূরণ করে মাত্র ২০ রান খরচায় একাই ৫ উইকেট শিকার করেছেন। ১৫টি ডট বল দিয়েছেন এর মধ্যে।
আর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে বাংলাদেশের হয়ে যৌথভাবে দ্বিতীয় সেরা বোলিং ফিগার এটি। উইন্ডিজের বিপক্ষে একই বোলিং ফিগার নিয়ে সাকিব আল হাসান ছিলেন এককভাবে এতদিন ছিলেন। এবার তার সাথে যোগ হলেন মোসাদ্দেক। আর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৪ ওভারে ১ মেইডেনসহ ১৩ রান খরচায় ৫ উইকেট নিয়ে শিকার করে ইলিয়াস সানী আছেন সবার ওপরে।
মোসাদ্দেক ছাড়া ১টি করে উইকেট লাভ করেন মুস্তাফিজুর রহমান ও দীর্ঘদিন পর একাদশে সু্যোগ পাওয়া হাসান মাহমুদ।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০
বিস্তারিত আসছে…
