নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বিপিএলের এবারের আসরে সবার আগে ফাইনাল নিশ্চিত করল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। সোমবার রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে বড় জয় পেয়েছে তারা। মিরপুরে প্রতিযোগিতার রেকর্ড চ্যাম্পিয়নদের জয় ৬ উইকেটে। আজ আগে ব্যাট করে জিমি নিশাম ঝড়ে ১৮৫ রান করে রংপুর। রান তাড়ায় ঝোড়ো ফিফটি হাঁকিয়েছেন কুমিল্লার লিটন দাস ও তাওহীদ হৃদয়।
১৮৬ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে প্রথম বলেই সুনীল নারিনের উইকেট হারায় কুমিল্লা। ফজলহক ফারুকির বলে উইকেটকিপার নুরুল হাসান সোহানেরে হাতে ধরা পড়েন এই উইন্ডিজ অলরাউন্ডার। এরপরের সময়টা কুমিল্লার দুই ব্যাটার লিটন ও হৃদয় রাজত্ব করেছেন। অধিনায়কত্ব পেয়ে শুরুটা ভয়াবহ হলেও গত কয়েক ম্যাচে লিটন অপ্রতিরোধ্য। আজও দারুণ খেলেছেন। সঙ্গী আরেক ইনফর্ম ব্যাটার হৃদয়। দুজন মিলে ৮৯ বলে ১৪৩ রানের জুটি গড়েন। ৪৩ বলে ৫ চার ও ৪ ছয়ে ৬৪ রান করে মেহেদি হাসানের বলে তাওহীদ বিদায় নিলে এই জুটি ভাঙে।
এর আগে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই হারায় ওপেনার শামীম হোসেনকে। তানভির ইসলামের ডেলিভারিতে আন্দ্রে রাসেলের হাতে ক্যাচ দিয়ে শূন্যতে বিদায় নেন শামীম। রনি তালুকদারও পারেননি থিতু হতে। তৃতীয় ওভারেই উইকেটের পেছনে লিটনের হাতে ক্যাচ বানিয়ে তাকে বিদায় করেন অভিষিক্ত রোহানাত দৌলা বর্ষণ। রনির ব্যাট থেকে আসে মাত্র ১১ রান। ওয়ানডাউনে নামা সাকিবও দ্রুত বিদায় নিলে ২৭ রানে তিন উইকেট হারায় রংপুর, সাকিব করেন ৫ রান।
দ্রুত টপ অর্ডারদের হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় রংপুর। সেখান থেকে উদ্ধার করেন নিশাম। প্রথমে শেখ মেহেদির সঙ্গে ৩৯ রানের জুটিতে লড়াই করেন। এরপর ২২ রান করে মেহেদি ফিরলে জুটি বাধেন নিকোলাস পুরানের সঙ্গে। ওই জুটিও বেশিদূর যায়নি। ঝড় তোলার আগেই পুরানকে থামান মুশফিক হাসান। ৯ বলে ১৪ রানের বেশি করতে পারেননি পুরান। সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মিছিলে উইকেটে থিতু ছিলেন নিশাম। ৩১ বলে কিউই তারকা তুলে নেন ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরি। এরপর বাকি ইনিংস তিনিই টানেন। কিউই তারকার ব্যাটে চড়েই লড়াইয়ের পুঁজি পায় রংপুর রাইডার্স। শেষ পর্যন্ত উইকেট ধরে রেখে ৯৮ রানের ইনিংস উপহার দিয়েছেন নিশাম। ৪৯ বলে যা সাজানো সাতটি ছক্কা আটটি চারে।
কুমিল্লার হয়ে বল হাতে ৪ ওভারে ৭২ রান দিয়ে এক উইকেট নেন মুশফিক হাসান। বিপিএলের ইতিহাসে এটাই সবচেয়ে খরুচে বোলিং। আন্দ্রে রাসেল ৩৭ রান দিয়ে নেন দুটি। সুনিল নারিন নেন একটি উইকেট। জবাব দিতে নেমে করতে নেমে প্রথম বলেই রংপুরের পেসার আফগানিস্তানের ফজলহক ফারুকির বলে আউট হন নারিন।
এরপর হৃদয়কে নিয়ে উইকেটে সেট হবার চেষ্টা করেন আরেক ওপেনার লিটন। দশম ওভারে এবারের আসরে দ্বিতীয় ফিফটি পূর্ণ করেন ৩১ বল খেলা হৃদয়। অন্যদিকে ৩৮ বল খেলে ১৩তম ওভারে এবারের আসরে তৃতীয় ফিফটির দেখা পান লিটন।
হৃদয় আউট হওয়ার আগে ৫টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৪৩ বলে ৬৪ রান করেন। এই ইনিংস খেলার পথে বরিশালের অধিনায়ক তামিম ইকবালকে টপকে এবারের আসরে সর্বোচ্চ রানের মালিক হন তিনি। দ্বিতীয় উইকেটে লিটন-হৃদয় ৮৯ বলে ১৪৩ রান যোগ করে কুমিল্লার জয়ের পথ সহজ করেন। দলীয় ১৪৩ রানে হৃদয় ফেরার পর উইন্ডিজ জনসন চার্লস ৩ বলে ১০ রান করে থামেন। দলের জয় থেকে ১৩ রান দূরে থাকতে আউট হন ৯টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৫৭ বলে ৮৩ রান করা লিটন। এরপর ৯ বল বাকী থাকতে কুমিল্লার জয় নিশ্চিত করেন মঈন আলি ও আন্দ্রে রাসেল। মঈন ৬ বলে ১টি করে চার-ছক্কায় অপরাজিত ১২ ও রাসেল ২ রানে অপরাজিত থাকেন। রংপুরের ফারুকি ২টি উইকেট নেন।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/১১০
Discussion about this post