নিজস্ব প্রতিবেদকঃ উড়ছিল সিলেট স্ট্রাইকার্স, বাড়ছিল প্রত্যাশা। ঘরের মাঠে বাড়তি আশা নিয়ে স্ট্রাইকার্সরা খেলতে নেমেছিল প্রথম ম্যাচ। তবে দারুণ ফর্মে থাকা সিলেটকে মাটিতে নামিয়েছে রংপুর রাইডার্স।
লো স্কোরিং ম্যাচে সিলেটকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে রংপুর। যদিও জয় পেতে বেশ কষ্টই পোহাতে হয়েছে নুরুল হাসান সোহানের দলকে। তবে মাশরাফী বিন মোর্ত্তাজার দল হতাশ করেছে মাঠে আসা হাজার হাজার স্বাগতিক দর্শককে।
সিলেটের দেওয়া ৯৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ধীর গতিতে শুরু করে রংপুর। তবে ষষ্ঠ ওভারের তৃতীয় বলে গিয়ে দলীয় ২৭ রানের মাথায় ওপেনার নাইম শেখের উইকেট হারায় দলটি। এর আগে ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাট করে ২১ বলে ২ বাউন্ডারিতে ১৮ রান করেন এই বাঁহাতি ওপেনার। টপ অর্ডারে ব্যাট করতে নেমে খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি শেখ মেহেদী। ১২ বলে ১ বাউন্ডারিতে ৮ রান করে দলীয় ৪৪ রানের মাথায় প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। উইকেটে এসে গোল্ডেন ডাক মারেন অভিজ্ঞ শোয়েব মালিক। দুজনকেই আউট করেন অধিনায়ক মাশরাফী।
উইকেটে ওপেনার রনি তালুকদারের সাথে ২০ রানের জুটি গড়েন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। তবে সেখানে ৯ রানে মাত্র ৪ রান অবদান এই আফগান ক্রিকেটারের। ৬৬ রানে ৪ উইকেট হারানোর সাথে ধীর গতি রান তোলা নিয়ে খানিকটা চাপে পড়া রংপুরকে অবশ্য আর উইকেট হারাতে দেননি রনি ও মোহাম্মদ নওয়াজ। দুজনের অবিচ্ছিন্ন ২৭ রানের জুটিতে ভর করেই ২৬ বল বাকি থাকতে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় রংপুর।
রনি ৩৮ বলে ১টি করে চার ও ছয়ের মারে অপরাজিত থাকেন ৪১ রানে। শেষ দিকে উইকেটে এসে ১৩ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় ১৮ রানের ক্যামিও খেলে অপরাজিত থাকেন নওয়াজ।
সিলেটের হয়ে মাশরাফী ৩ ওভারে ১৮ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট। এছাড়া রাজা-আমির ১টি করে উইকেট নিয়েছেন। উইকেট না পেলেও কিপটেমি বোলিং করেছেন ইমাদ ওয়াসিম।
এর আগে নিজেদের মাঠে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে মাত্র ৯ উইকেট হারিয়ে ৯২ রান করে সিলেট স্ট্রাইকার্স। ইনিংসের শুরুতেই আশা যাওয়ার মিছিলে স্ট্রাইকার্সরা। টম মুরস দিয়ে শুরু, একে একে সেখানে যোগ দেন শান্ত-হৃদয়-জাকির-মুশফিক-পেরেরেরা। প্রথম সাত ব্যাটারের কেউই ব্যক্তিগত রানের খাতা দুই অঙ্কে নিতে পারেননি।
১৮ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে চোখে-মুখে অন্ধকার দেখা সিলেটকে লড়াইয়ে আনেন ঘরের ছেলে তানজিম হাসান সাকিব। তার ৩৬ বলে ৫ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় ৪১ রানের ইনিংসে ভর করেই শেষ পর্যন্ত মান রক্ষার ৯২ রানের পুঁজি পায় সিলেট। সঙ্গে ২ ছক্কায় অধিনায়ক মাশরাফীও খেলেন ২১ রানের কার্যকরী ইনিংস।
সিলেটকে ডুবানোর কারিগর আজমতউল্লাহ ওমরজাই ও হাসান মাহমুদ। দুজনই শিকার করেছেন ৪টি করে উইকেট। ২টি উইকেট নিয়েছেন শেখ মেহেদী।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/সা
Discussion about this post