শতরান পেরিয়েছে বাংলাদেশ

0
21

স্পোর্টস ডেস্ক:: স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করার মিশনে ১৭৮ রানের টার্গেটে ব্যাট করছে সফরকারী বাংলাদেশ দল। লিটন দাসের ফিফটিতে টাইগাররা দারুণ একটা শুরু পেয়েছে। তবে শত রানের আগেই ৪ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ দল।

এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত টাইগারদের সংগ্রহ ৩১.৪ ওভারে চার উইকেটে ১১৫ রান। মোসাদ্দেক ১৪ ও মাহমুদউল্লাহ ১৩ রানে ব্যাট করছেন।

জয়ের লক্ষ্য ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশের শুরুটা অবশ্য খুব একটা সুখকর হয়নি। দলীয় ২০ রানেই প্রথম উইকেট হারায় দলটি। ইনিংসের সপ্তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ব্যক্তিগ মাত্র ১ রানে সাজঘরে ফিরেন ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত।

তবে আরেক ওপেনার অধিনায়ক তামিম ইকবাল এরপরই দ্বিতীয় উইকেটে লিটন দাসকে নিয়ে গড়েন জুটি। তাদের দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে বাংলাদেশ পায় ৫০ রান। দলীয় ৭০ রানে অধিনায়কের বিদায়ে ভাঙে তাদের জুটি। ইনিংসের ১৭তম ওভারের চতুর্থ বলে ব্যক্তিগত ৩৪ রানে তামিম ফিরেন সাজঘরে। ৫২ বলের ইনিংসে চারটি চার হাঁকিয়েছেন তিনি।

ইনিংসের ২৫তম ওভারে বড় একটা ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। পরপর ফিরে যান হাফ সেঞ্চুরিয়ান লিটন দাস ও আফিফ হোসেন ধ্রুব। ওই ওভারের বলে মোটি সাজঘরে ফেরান লিটনকে। দলীয় ৯৬ রানের মাথায় তৃতীয় উইকেট হারায় টাইগাররা। পাঁচ চার ও এক ছয়ে ৬৫ বলে ৫০ রান করেন লিটন। এক বলেই মোটি ফিরিয়ে দেন আফিফ হোসেনকেও। রানের খাতাই খুলতে পারেননি এই ব্যাটার। ৯৬ রানেই চতুর্থ উইকেট হারিয়ে ফেলে তামিমের দল।

উইন্ডিজের হয়ে এখন পর্যন্ত গুদাকেশ মোটি ৩টি ও জোসেপ ১টি করে উইকেট লাভ করেছেন।

এর আগে উইন্ডিজ অলআউট হয় ১৭৮ রানে। গায়ানায় সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে আগে ব্যাট করতে নামা উইন্ডিজ শুরু থেকেই ছিল বিপাকে। তাইজুল-নাসুম-মুস্তাফিজদের বোলিং তোপে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় ক্যারিবিয়ানরা। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে ফিফটি তোলে নেন স্বাগতিকদের অধিনায়ক নিকোলাস পুরান।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়েছিল উইন্ডিজ। তবে অধিনায়ক পুরান ও কিসে কার্টি মিলে দারুণ প্রতিরোধ গড়ে ৬৭ রানের জুটিতে দলকে বাঁচান শতরানের আগে গুঁটিয়ে যাওয়ার বড় লজ্জার হাত থেকে। নাসুম আহমেদ ৩৩ রানে ফেরান কার্টিকে। অবশ্য সাবধানী শুরুর আভাস দেওয়া ব্রেন্ডন কিংকে ইনিংসের তৃতীয় ওভারে সাজঘরে ফেরান তাইজুল। এই স্পিনারের গুড লেংথের বলে কিং ফেরার আগে করেন মাত্র ৮ রানে।

এরপর শাই হোপকেও ফেরান তাইজুল। মাত্র ২ রানে আউট হয়ে সাজঘরে ফিরে যেতে হয় ক্যারিবিয়া এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যানকে। আক্রমণে এসে উইকেটের দেখা পান মুস্তাফিজুর রহমানও। বাঁহাতি এই পেসারের বলে শামাহ ব্রুকস লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে পড়েন। মাত্র ৪ রানে সাজঘরে ফেরেন তিনি।

রোভম্যান পাওয়েলকে তাইজুল ফেরালেন ১৮ রানে। আউট হওয়ার আগে ১০৯ বলে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭৩ রান করেন পুরান। তার ইনিংসে ছিল ৪টি চার ও দুটি ছক্কার। শেষ দিকে বড় শট খেলে ২২ বলে ১৯ রান করেন রোমারিও শেফার্ড। একটি করে চার ও ছয় মারেন তিনি। ১০ ওভার বল করে ২৮ রান দিয়ে ৫ উইকেট নিয়েছেন তাইজুল। মুস্তাফিজ পেয়েছেন দুই উইকেট। দারুণ মিতব্যয়ী ছিলেন তিনি। নাসুমও পেয়েছেন ২ উইকেট। বাকি উইকেটটি মোসাদ্দেক হোসেনের দখলে।

এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here