স্পোর্টস ডেস্কঃ গল টেস্ট জিতে সিরিজে এগিয়ে গেল পাকিস্তান। শেষ দিনে বাবর আজমদের প্রয়োজন ছিল ৮৩ রান আর শ্রীলঙ্কার ৭ উইকেট। পাল্লাটা পাকিস্তানের দিকে বেশি ভারি থাকলেও, কিছুটা আশা ছিল লঙ্কানদের নিয়েও। আগের দিনের শেষ সেশনে পাকিস্তানের ৩ উইকেট তুলে নেন স্বাগতিক বোলাররা। তবে শেষ পর্যন্ত অসম্ভব কিছু হতে দেন ইমাম উল হক-সৌদ শাকিলরা। পঞ্চম দিনের প্রথম সেশন শেষ হওয়ার আগেই ৪ উইকেটে জয় তুলে নেয় তারা।
রান তাড়ায় ওপেনার আবদুল্লাহ শফিক টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। বাঁহাতি স্পিনার জয়াসুরিয়ার বলে কট বিহাইন্ড হন তিনি। শান মাসুদও এবার টেকেননি। জয়াসুরিয়াকে বেরিয়ে এসে খেলার চেষ্টায় তিনি ধরা পড়েন শর্ট লেগে। ‘নাইটওয়াচম্যান’ হিসেবে নেমে নুমান আলি ফেরেন রান আউটে। এদিকে পঞ্চম দিনের শুরুটা ভালো হয় নি পাকিস্তানের।
আগের দিনের ৬ রান নিয়ে খেলতে নামা বাবর ফেরেন ২৪ রানে। ২৮ বল খেলে ৫টি চার মারেন তিনি। তাকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন প্রবাথ। এরপর প্রথম ইনিংসে ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকানো শাকিলের সঙ্গে মিলে ৫৫ বলে ৪৩ রান যোগ করেন ইমাম। ইতিহাস গড়া শাকিল আউট হন ৩০ রানে। তাঁর ৩৮ বলের ইনিংসে ছিল ৬টি চার। এরপর পাকিস্তানকে জয়ের দোরগোড়ায় নিয়ে আসেন ইমাম। ৮৪ বলে চারটি চার ও একটি ছকায় ৫০ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। প্রথম ইনিংসে ইতিহাস গড়া ২০৮ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৩০ রান করা শাকিল জিতেছেন ম্যাচ সেরার পুরষ্কার।
এর আগে ১৪৯ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করতে নেমে ২০ রান করা করুনারত্নেকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন আবরার আহমেদ। কুশল মেন্ডিসও টিকতে পারেন নি। তাকে আউট করেন নোমান। আর অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসকে দ্রুতই বিদায় করেছেন আঘা সালমান। ৫২ রান করা মাদুশঙ্কাকে ফিরিয়ে পাকিস্তানকে বিপদ মুক্ত করেন নোমান। এরপর দীনেশ চান্দিমাল ও ধনাঞ্জয়া মিলে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। তারা দুজনে মিলে যোগ করেন ৬০ রান।
চান্দিমাল আউট হয়েছেন ২৮ রানে। উইকেটকিপার ব্যাটার সাদিরা সামারাবিক্রমাকে ১১ রানের বেশি করতে দেননি সালমান। ধনাঞ্জয়া ৭১ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন। ৪২ রান ফিরে যান মেন্ডিস। শেষ পর্যন্ত ২৭৯ রানে অল আউট হয় শ্রীলঙ্কা, তাতে পাকিস্তানের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৩১ রান। পাকিস্তানের হয়ে আবরার ও নুমান তিনটি এবং আফ্রিদি ও সালমান নিয়েছেন দুটি করে উইকেট।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/১১০