নিজস্ব প্রতিবেদক:: বড় ম্যাচেই জ্বলে উঠলেন সিলেট স্ট্রাইকার্সের বড় তারক মুশফিকুর রহিম। পুরো টুর্নামেন্টে সুবিধা করতে না পারা মুশফিক ফাইনালে খেলেছেন বড় ইনিংস। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তাতেই সিলেটের ঝুলিতে ১৭৫ রান।
১৭৬ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে হবে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে।
টস হেরে ব্যাট করতে নামা স্ট্রাইকার্সরা মুশফিক-শান্তর ব্যাটেই গড়লো চ্যালেঞ্জিং পূঁজি। তবে শুরুটা ভাল হয়নি দলটির। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই ওপেনার তাওহীদ হৃদয় শুন্য রানে ফিরে যান সাজঘরে। তার বিদায়ের পর উইকেটে আসেন অধিনায়ক মাশরাফী। তিনে নামলেও অধিনায়ক সফল হতে পারেননি। তৃতীয় ওভারের শেষ বলে দলীয় ২৬ রানে তার বিদায়ে দ্বিতীয় উইকেট হারায় স্ট্রাইকার্সরা।
দ্রুত দুই উইকেট হারানো সিলেটের হাল ধরেন মুশফিকুর রহিম ও নাজমুল হোসেন শান্ত। তৃতীয় উইকেটে ৭৯ রানের জুটি গড়েন তারা। দু’জনেই তুলে নেন ফিফটি। দলীয় ১০৫ রানে শান্তর বিদায়ে ভাঙে তাদের জুটি। ইনিংসের ১৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে মঈন আলীর বলের বোল্ড হওয়ার আগে এই ওপেনার ৬৪ রানের ঝলমলে এক ইনিংস খেলেন। নয় চার আর এক ছয়ে ৪৫ বলে সাজানো ছিলো তার ইনিংসটি।
শান্ত প্যাভেলিয়নে ফিরে গেলেও মুশফিক অবিচল থাকেন। ৭৪ রানের নান্দনিক ইনিংস খেলে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন তিনি। দেড়শোর বেশি স্ট্রাইক রেটে ৪৮ বলে পাঁচ চার ও তিন ছক্কায় নিজের ইনিংসটি সাজান এই সিনিয়র ক্রিকেটার। দুই হাফ সেঞ্চুরিয়ানের সঙ্গে রায়ান বার্লের ১৩ রানের সুবাদে স্ট্রাইকার্স ১৭৫ রান তুলে ৭ উইকেটে।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে মুস্তাফিজ দু’টি, সুনিল নারাইন, আন্দ্রে রাসেল, তানভীর ইসলাম ও মঈন আলীরা ১টি করে উইকেট লাভ করেন।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/০০
Discussion about this post