নিজস্ব প্রতিবেদকঃ টস হেরে ফিল্ডিং করতে নেমে শুরুটা ভালো হলেও, সেটা ধরে রাখতো পারলো না সিলেট স্ট্রাইকার্স। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করেছে ১৭৪ রান। ঘরের মাঠে প্রথম জয় পেতে হলে সিলেটকে করতে হবে ১৭৫ রান।
চট্টলার দলটির বড় রানের কারিগর অধিনায়ক শুভাগত হোম। ঝড়ো এক ফিফটি হাঁকিয়ে ৫৪ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। এর আগে ফিফটি হাঁকিয়েছেন ওপেনার মেহেদী মারুফও।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ইনিংসের একেবারে প্রথম বলেই উসমান খানকে জাকির হাসানের দুর্দান্ত এক ক্যাচে ফেরান অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তাজা। তবে এরপরই ঘুরে দাঁড়ায় চট্টগ্রাম। আফিফ হোসেন ধ্রুব ও মেহেদী মারুফ গড়ে তুলেন ৮৮ রানের দারুণ জুটি।
সেই জুটি ভাঙে আফিফের বিদায়ে। ২৭ বলে ৫ বাউন্ডারিতে ৩২ রান করে আউট হন এই বাঁহাতি। দ্রুতই ফিরে যান মারুফও। তবে এর আগে নিজের ফিফটি পূরণ করে নেন তিনি। খেলেন ৪০ বলে ৭ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় ৫২ রানের ইনিংস। এরপর দ্রুতই দলীয় একশ পূরণের আগে আরও দুটি উইকেট হারায় চট্টগ্রাম।
একশ’র আগেই ৫ উইকেট হারিয়ে অনেকটা চাপে পড়ে তারা। ম্যাচ চলে যায় সিলেটের হাতে। তবে সেখান থেকে চট্টগ্রামকে উদ্ধার করেন অধিনায়ক শুভাগত হোম। ইরফান শুক্কুরের সাথে ২৭ রানের জুটি গড়েন, এরপর আবার মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরির সাথে ৪৭ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে দলকে বড় পুঁজি এনে দেন।
ব্যক্তিগতভাবে ফিফটি হাঁকিয়ে ২৯ বলে ৩টি করে চার ও ছয়ের মারে ৫৪ রান করে অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক শুভাগত। ১২ বলে ২ চারের মারে ১৫ রান করে অপরাজিত থাকেন মৃত্যুঞ্জয়।
সিলেটের হয়ে ৪ ওভারে ২৩ রান খরচায় ২ উইকেট শিকার করেন ইমাদ ওয়াসিম। মাত্র ১৭ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন মোহাম্মদ আমির। অধিনায়ক মাশরাফী ১ উইকেট নিলেও, এদিন খরচ করেছেন ৩৬ রান।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/সা